১৫ জানুয়ারির শার্লি এবদোর পর আবার আক্রান্ত হল প্যারিস। আরও ভয়াবহ ভাবে। পর পর জঙ্গি হানায় অন্তত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী শহরে। এলোপাথাড়ি গুলি আর একের পর এক বিস্ফোরণে আহত আরও বহু মানুষ। স্থানীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রথম হামলাটি হয় স্ট্যাডে ডি ফ্রান্স স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে তখন ফ্রান্স-জার্মানি প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ চলছিল। স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁ। এর পরই একের পর এক হামলা শুরু হয় প্যারিসের বিভিন্ন প্রান্তে।
সব থেকে বড় হামলাটি হয়েছে বাতাক্লাঁ কনসার্ট হলে। জিহাদি স্লোগান তুলে ভিড়ে ঠাসা হলে ঢুকে পড়ে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী। সিরিয়ায় ফরাসি হানার বিরুদ্ধেও স্লোগান উঠতে থাকে। শুরুতেই শতাধিক দর্শককে পণবন্দি করে নেয় জঙ্গিরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পণবন্দিদের অনেককেই জঙ্গিরা একে একে গুলি করে মারছিল। এরপর সেনা অভিযান শুরু হতেই একের পর এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে জঙ্গিরা। কনসার্ট হলে হামলাতেই শ-খানেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
নিন্দায় মুখর বিশ্ব
একই সময় আলাদা আলাদা হামলা চলতে থাকে পানশালা, রেস্তোরাঁ, শপিং সেন্টারে। মোট ছ’জায়গায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।
সব মিলিয়ে ১২৭ জনেরও বেশি মারা গেছেন এই ধারাবাহিক হামলায়। এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাসে খবরাখবর নেওয়ার জন্য টেলিফোন হেল্প লাইন খোলা হয়েছে।
নম্বর ০০৩৩১৪০৫০৭০৭০।
এই আত্মঘাতী হামলার পিছনে আইএস জঙ্গিরাই আছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
ঘটনাচক্রে এ দিনের সবথেকে বড় হামলাস্লের খুব কাছেই ছিল শার্লি এবদোর পুরনো দফতর। এ বছরেই ৭ জানুয়ারি এই পত্রিকা দফতরে হামলা চালিয়ে ১২ জনকে খুন করেছিল আইএস জঙ্গিরা।