রুহান কেন সিড। ছবি: কেন সিডের টুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ভারতে আসার অনুমতি পেয়েছিল ছোট্ট রুহান। যে কারণে সীমান্ত পেরিয়ে ভিন দেশে পাড়ি, সেটাও মিটেছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। দেশে ফেরার পরেই মাত্র চার মাস বয়সে শেষ হয়ে গেল রুহান সাদিকের জীবন।
নয়ডার জয়পি হাসপাতালে সফল ভাবেই হৃদ্পিণ্ডে জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। কিন্তু, পাকিস্তানে ফিরে ডিহাইড্রেশনে মারা গেল সে। সোমবার এ কথা টুইট করে জানিয়েছেন রুহানের বাবা কেন সিড। নিজের পোস্টে সিড লিখেছেন, ‘এত বড় অপারেশন সামলে নিয়েছিল, কিন্তু সামান্য ডিহাইড্রেশনে আমার রুহান চলে গেল।’
সিড-এর সেই টুইট:
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের বিষয় জানার কথা নয় ছোট্ট রুহানের। তাই তার জীবন ভিক্ষা করে মাস দুয়েক আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা সিড। জটিল হৃদ্পিণ্ডের সমস্যায় ভুগছিল আড়াই মাসের রুহান। সেই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভবপর ছিল না পাকিস্তানে। এ দিকে রাজনৈতিক টানাপড়েনে বেশ কয়েক সপ্তাহ চেষ্টা করেও ভিসা পাচ্ছিলেন না সিড। অবশেষে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সহযোগিতায় মিটেছিল সমস্যা।
আরও পড়ুন: কুকুর বাঁধার বেল্ট গলায় জড়িয়ে ঝুলছে ছেলে!
সুষমা স্বরাজের সঙ্গে রুহান। ছবি: কেন সিডের টুইটারের সৌজন্যে
সেই সময় সুষমাকে একটি টুইট করে সিড লিখেছিলেন, ‘ম্যাডাম, ভিসাটা আমার খুব দরকার। আমার ছেলে তো জানে না, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কী চলছে।’ এর উত্তর দিয়ে সুষমা লেখেন, ‘ওকে আর ভুগতে হবে না। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করুন। আমরা ভিসা দেব।’
আরও পড়ুন: বাংলার গ্রামে চিকিত্সা করছেন সাহেব ডাক্তাররা
কথাও রেখেছিলেন তিনি। ছেলেকে সুস্থ করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর সুষমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিড লিখেছিলেন, ‘সুষমাজির জন্যই এখনও রুহানের হৃদ্পিণ্ড ধুকপুক করছে। তবে এখনও অনেক পাক নাগরিক মেডিক্যাল ভিসার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। সুষমাজি তাঁদের জন্য ভারতের দরজা খুলে দিলে খুবই ভাল হয়।’