Pulwama Attack

নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জঙ্গি ঘাঁটিগুলি বন্ধ করল পাকিস্তান: গোয়েন্দা সূত্র

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায় প্রাণ হারান ৪৯ সিআরপি জওয়ান, যার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবংবালাকোটে অভিযান চালিয়ে বহু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ১৭:০৬
Share:

বালাকোটের পরই এমন সিদ্ধান্ত পাক সরকারের। —ফাইল চিত্র।

ফের বালাকোটের মতো অভিযান চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গড়ে ওঠা সমস্ত জঙ্গি শিবির বন্ধ করে দিল পাকিস্তান সরকার। পুলওয়ামা কাণ্ডের চারমাস পর গোয়েন্দা সূত্রে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে হামলা চালায় পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তার পর দিল্লিতে পাক হাইকমিশনারের হাতে বেশ কিছু নথিপত্র তুলে দেয় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। তাতে হামলায় জইশ যোগের প্রমাণ-সহ সে দেশে গড়ে ওঠা জঙ্গি শিবিরগুলি নিয়ে সবিস্তার তথ্য ছিল। তার পরই ইমরান খান সরকারের তরফে পদক্ষেপ করা হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের।

ভারতের তরফে পাক হাইকমিশনারকে যে নথিপত্র দেওয়া হয়েছিল, তাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১১টি জঙ্গি শিবিরের উল্লেখ ছিল, যার মধ্যে মুজফ্ফরপুর ও কোটলি ক্লাস্টারে পাঁচটি করে এবং বারনালায় একটি জঙ্গি শিবির ছিল। কোটলি এবং নিকিয়াল এলাকায় যে জঙ্গি শিবিরগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি চালাত লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠন।পালা এবং বাগ এলাকায় বন্ধ হওয়া শিবিরগুলির বেশিরভাগই আবার জইশ-ই-মহম্মদ চালাত। কোটলি এলাকায় হিজবুল মুজাহিদিনেরও একটি শিবির ছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লির নজরে বাংলা, কেশরীর রিপোর্ট নিলেন মোদী, শাহ-ডোভাল বৈঠকেও হিংসা নিয়ে কথা​

আরও পড়ুন: কুপিয়ে ঠাকুমাকে খুন, বাবা-মাকে জখম করে ফেসবুক লাইভ যুবকের​

এ ছাড়াও, মুজফ্ফরবাদ এবং মীরপুরের কাছে লস্কর, জইশ এবং হিজবুলের যে জঙ্গি শিবিরগুলি ছিল, সেগুলিও সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায় প্রাণ হারান ৪৯ সিআরপি জওয়ান, যার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবংবালাকোটে অভিযান চালিয়ে বহু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার ঠিক একদিন পরই আবার নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে আসে পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান, যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি দেখা দেয়। তার জেরে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তায় জোর দেয় দুই দেশই। জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ভারতীয় সেনা। সেই থেকে গত দু’মাসে এখনও পর্যন্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা চোখে পড়েনি।অন্য দিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মদুই দেশের বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement