চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে নাম লেখাতে চলেছে আফগানিস্তান। —ফাইল চিত্র।
চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম লেখাতে চলেছে আফগানিস্তান। শনিবার তালিবানের এক মুখপাত্র এই কথা জানিয়েছেন। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। তার পর বিশ্বের অধিকাংশ দেশই স্বীকৃতি দেয়নি তালিবান শাসিত আফগানিস্তানকে। তবে চিন তালিবানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিল।
কাবুল এবং বেজিংয়ের মধ্যে এই বোঝাপড়ার আবহেই তালিবানের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক এবং মন্ত্রী বেজিংয়ে গিয়েছেন। সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে দুই দেশের শীর্ষ পদাধিকারীদের মধ্যে আলোচনা হলেও অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়টি। এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের বিনিময়ে চিনের কাছ থেকে একাধিক পরিকাঠামোগত সাহায্য পেতে পারে আফগানিস্তান। চিনের তরফে যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ইউরোপ, এশিয়া আর আফ্রিকাকে জল, সড়ক, রেল, পাইপলাইন এবং আকাশপথে যুক্ত করতে চিনের স্বপ্নের প্রকল্প হল ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প। দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের আপত্তি রয়েছে এই প্রকল্পের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) নামের এই রাস্তা চিন অধিকৃত উইঘুর এলাকা শিনজিয়াংয়ের কাশগড়কে যুক্ত করেছে পাকিস্তানের গ্বদর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে। ওই রাস্তার একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান এলাকার ভিতর দিয়ে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলে স্বীকার করে না ভারত। তাই নয়াদিল্লির যুক্তি, এই রাস্তা তৈরি করে ভারতের সার্বভৌমত্বে ভাগ বসিয়েছে বেজিং। অন্য দিকে, আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও সে দেশে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ বন্ধ করেনি নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে চিন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ভারতের কাছেও তা মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।