বেহেস্তা আরঘান্দ ছবি সৌজন্যে রয়টার্স।
চলতি মাসেই ইতিহাস গড়েছিলেন আফগানিস্তানের মহিলা সাংবাদিক বেহেস্তা আরঘান্দ। তালিবানের এক শীর্ষনেতার সাক্ষাৎকার নেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে তালিবান শাসনে মহিলাদের অধিকার কতটা সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারের কয়েক দিন পরেই কাবুল ছেড়ে পালালেন বেহেস্তা।
প্রাণ বাঁচাতেই দেশ ছেড়েছেন দাবি করে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বেহেস্তা বলেন, ‘‘তালিবানের ওই শীর্ষনেতার সাক্ষাৎকার নেওয়ার দু’দিন পরেই মালালা ইউসুফজাইয়ের সাক্ষাৎকার নিই। কিন্তু তার পরে বাকিদের মতো আমিও ভয়ে দেশ ছেড়েছি। আমার পরিচিত বহু সাংবাদিক দেশ ছেড়েছেন। আমাদের সামনে এখন দু’টি সমস্যা। আফগানদের দেশ ছেড়ে বার করে আনা ও সেই সঙ্গে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো।’’
গত ১৭ অগস্ট ওই সাক্ষাৎকার নেন বেহেস্তা। আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথম বার তালিবানের কোনও মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে হাজির হয়ে সাক্ষাৎকার দেন। এক জন মহিলা সাংবাদিকের ওই সাক্ষাৎকার গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছিল। সেই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে বেহেস্তা বলেন, ‘‘আমি আফগান মহিলাদের জন্য এই কাজ করেছি। তালিবান নেতাকে আমি বলেছিলাম, আপনারা মহিলাদের অধিকার দেন না। কিন্তু আমরা আমাদের অধিকার চাই। আমরা কাজ করে যেতে চাই। এটা আমাদের অধিকার।’’
গত মঙ্গলবার কাতারের সেনাবাহিনীর বিমানে চেপে সে দেশে গিয়েছেন বেহেস্তা। সঙ্গে তাঁর পরিবারও রয়েছে। তবে আগামী দিনে দেশে ফিরতে পারবেন, সেই আশাতেই রয়েছেন তিনি। বেহেস্তা বলেন, ‘‘তালিবান যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা রাখলে হয়তো আগামী দিনে মহিলারা কাজের অধিকার পাবে। সে ক্ষেত্রে আমি আবার দেশে ফিরে দেশের মানুষের জন্য কাজ করব।’’