তালিবানি যোদ্ধার বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আফগান মহিলা ছবি সৌজন্যে রয়টার্স।
যেন ফিরে এল ৩২ বছর আগের স্মৃতি। বেজিংয়ের তিয়েনানমেন স্কোয়ার ফিরে এল কাবুলের রাস্তায়। সে দিন যেমন চিনা সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের সামনে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি, ঠিক তেমনই তালিবানের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রর সামনে ভয়ডরহীন এক আফগান মহিলাকে দেখল গোটা বিশ্ব।
মঙ্গলবার তখন কাবুলের রাস্তায় উত্তাল বিক্ষোভ চলছে। ‘পাকিস্তান দূর হটো’, ‘তালিবান দূর হটো’ স্লোগান তুলে স্বাধীনতার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন কয়েক হাজার আফগান। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের আধিক্যই বেশি। তালিবান সেই মিছিল রুখতে মরিয়া। তালিব যোদ্ধাদের বন্দুকের বেয়নেট তাক করে রয়েছে মিছিলের দিকে। শূন্যে গুলি চলেছে। তাতেও থামানো যায়নি মিছিল। আর ঠিক তখনই জনতার দিকে বন্দুক তাক করলেন তালিব যোদ্ধারা।
তিয়েনানমেন স্কোয়ারের সেই ছবি
টোলো নিউজের সাংবাদিক জাহরা রহিমি টুইট করে বলেন, ‘‘এক আফগান মহিলা নির্ভয়ে তালিবানের সশস্ত্র যোদ্ধার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।’’ নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ছবি। আর তার পরেই ওই মহিলার সাহসের প্রশংসা শুরু হয়েছে।
১৯৮৯ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে চিনের বেজিংয়ের তিয়েনানমেন স্কোয়ারে ছাত্রছাত্রীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়। ৪ জুন চিনা সেনা গিয়ে সেই বিক্ষোভ দমন করে। বিক্ষোভ থামাতে গুলি থেকে শুরু করে কামান সব ব্যবহার করা হয়। আর তখনই একটা ছবি চমকে দিয়েছিল গোটা দুনিয়াকে। সেনাট্যাঙ্কের রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি। পরবর্তীকালে সেই ব্যক্তির আর কোনও খোঁজ না পাওয়া গেলেও সেই ছবি ‘আইকনিক’ ছবির তকমা পেয়েছিল। সেই দৃশ্যই এ বার দেখা গেল কাবুলে।
হিটলারের নাজি বাহিনীর সামনে অভিবাদন জানাতে অস্বীকার জার্মান তরুণের
বিশ্বে এর আগেও শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বেশ কিছু ছবি ‘আইকনিক’ ছবির তকমা পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হিটলারের নাজি বাহিনীর সামনে অভিবাদন জানাতে অস্বীকার করা এক জার্মান তরুণ। এ ছাড়া বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লুইজিয়ানায় পুলিশের সামনে এক মহিলার প্রতিবাদও এসেছিল শিরোনামে।
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লুইজিয়ানায় পুলিশের সামনে এক মহিলার প্রতিবাদ