প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে অভিযানের পরিসর ক্রমশ বাড়াচ্ছে তালিবান। আরও বেশি করে তারা নিশানা করছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সফর বাতিল করলেন আফগান সেনাপ্রধান। আগামী কাল ভারতে যাওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের সেনা বাহিনীর প্রধান ওয়ালি মহম্মদ আহমেদজ়াইয়ের। কিছু রাজনৈতিক নেতা ও সেনা কর্তার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আজই তাঁর সেই সফর বাতিলের কথা জানিয়েছে আফগান সরকার।
আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেশের প্রায় ৪০০টি জেলার অর্ধেকই তারা নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়ে নিয়েছে বলে সমানে দাবি করে যাচ্ছে তালিবান নেতৃত্ব। কিছু কিছু এলাকা আফগান বাহিনী পুনরুদ্ধার করলেও গোটা দেশে যথেষ্ট আতঙ্কের পরিবেশ। তালিবানকে মদত দেওয়ার জন্য পাক সরকারকে ইতিমধ্যেই দুষেছে আফগান সরকার। আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে পাকাপাকি ভাবে আফগানিস্তান ছাড়বে ন্যাটো এবং আমেরিকার সেনা বাহিনী। আর তার কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচিত আফগান সরকারকে ফেলে দিয়ে তালিবান দেশের শাসনভার হাতে নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমেরিকান আধিকারিকদের একাংশ।
এর মধ্যে আজই আফগানিস্তানে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি মিশন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধেই আফগানিস্তানে ১৬৫৯ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের হিসেবের তুলনায় যা প্রায় ৪৭ শতাংশ বেশি। আহতের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। এত মৃত্যুর জন্য আফগান সেনার একাংশকেও দায়ী করেছে ওই রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, অবিলম্বে আফগান বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড ছাড়াবে।
আমেরিকার সেনা অবশ্য আফগান সেনা বাহিনীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান কেনেথ ম্যাকেনজ়ি কাল জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের মাটি ছেড়ে তাঁদের বাহিনী চলে গেলেও তালিবানের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই জারি থাকবে। কেনেথের দাবি, গত কয়েক দিনে আফগান বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তালিবানের বিরুদ্ধে হামলা আরও জোরদার করেছে আমেরিকা। তাঁর কথায়, ‘‘তালিবান ভাবছে ওদের জয় অনিবার্য। তা একেবারেই নয়। ওদের মনে রাখতে হবে যে ৩১ অগস্টের পরেও আফগান সেনার সঙ্গে আমরা আকাশ পথে হামলা চালাতে পারব।’’ সংবাদ সংস্থা