উঁচু পাহাড়ের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ধরুন গুলতি দিয়ে একটা ঢিল ছোড়া হচ্ছে। এবার সেই গুলতিটাই খানিকটা বড় হয়ে গেল। যাকে বলে ক্যাটাপুল্ট। আর গুলতির গোড়ায় বাঁধা আপনি!
ওয়াইল্ড রাইড বোধহয় একেই বলে। আসলে একে এক ধরনের বাঞ্জি জাম্পও বলা যায় একে। নিমেষের মধ্যে পাহাড়ের উপরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে মানুষসমেত দড়িটি, আর তারপর আচমকা নিচে নামা!
নিউজিল্যান্ডের এ জে হ্যাকট বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঞ্জি জাম্প প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ক্যাটাপুল্ট’ চালু করল তারা।
এই অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করতে চাইলে আসতে হবে নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউনের নেভিস ভ্যালিতে। প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে এই ক্যাটাপুল্ট সেন্টার।
এ জে হ্যাকটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ভ্যান অ্যাশ জানিয়েছেন, এটি ‘গাট রেঞ্চিং এক্সপেরিয়েন্স’। ‘থ্রি-জি ফোর্স’ আর ‘ত্বরণ’-এর মাধ্যমে বাঞ্জি দড়িতে বাঁধা গুলতি বা ক্যাটাপুল্টের মতো ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে মাত্র দেড় সেকেন্ডের এই রাইড। পাড়ি দেওয়া যাবে ১৫০ মিটার।
অস্ট্রেলিয়ার স্যাম ইভান্স ও কার্ট টিলসে প্রথম বার এই রাইডের সাক্ষী থাকলেন।নিজেরাই ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলেন অভিজ্ঞতা।
হাড় হিম করা এই বাঞ্জি জাম্পিংয়ে বেশ কয়েকবার মাঝ আকাশেই ১২০ মিটারের দড়ি সমেত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় রাইডারদের ডিগবাজি খেতে দেখা গিয়েছে ভেসে ভেসে নামার সময়।
‘স্পিড’, ‘হাইট’ আর ‘সাডেন ড্রপ’ এই তিনটেই নেভিস ক্যাটাপুল্টের বৈশিষ্ট্য।
কিছু স্কাই ডাইভারদের বিমান থেকে বাইক সমেত মাঝ আকাশে ঝাঁপ দেওয়ার ‘কনসেপ্ট’ থেকেই ক্যাটাপুল্টের ভাবনা মাথায় আসে নির্মাতাদের। অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে আরও জনপ্রিয় করতেই এটি তৈরি হয়।