প্রতিবাদ।
, ২৪ এপ্রিল: ফের এক কৃষ্ণাঙ্গের হত্যা ঘিরে উত্তপ্ত আমেরিকা। নর্থ ক্যারোলাইনার এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল শেরিফের ডেপুটিদের দিকে। যে পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদমর্যাদার সাত জনকে ছুটিতে পাঠিয়ে ‘শাস্তি’ দেওয়া হল!
অশান্তি বেধেছিল মাদক মজুত সংক্রান্ত তল্লাশি এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা ঘিরে। তার পরে এক বা একাধিক ডেপুটির ছোড়া গুলিতেই গত বুধবার নিজের বাড়ির সামনে প্রাণ হারান অ্যান্ড্রু ব্রাউন জুনিয়র নামে ওই কৃষ্ণাঙ্গ। তবে এই ছুটিতে পাঠানো ডেপুটিদের মধ্যে অভিযুক্তরাও রয়েছেন কি না, তা এখনও অস্পষ্ট।
বুধবারের এই হত্যার ঘটনা ঘিরে ডেপুটিদের পোশাকের সঙ্গে থাকা বডি ক্যাম ফুটেজ প্রকাশ করা নিয়ে চাপ বাড়াতে থাকে জনতা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই ব্রাউনের পিঠে গুলি করা হয়— যার জেরে মৃত্যু হয় তাঁর।
বিভিন্ন মহল থেকেও বডি ক্যাম ফুটেজ প্রকাশ করার দাবি ওঠে। অঞ্চলের গভর্নর রয় কুপারও টুইটে এই নিয়ে সরব হন। যার পরেই ডেপুটিদের বিরুদ্ধে এই প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হল বলে জানিয়েছেন পাসকোট্যাঙ্ক কাউন্টি ম্যানেজার স্পার্টি হ্যামেট। পাশাপাশি তিন জন ডেপুটি নিজেরাই পদত্যাগ করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও এর সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ নেই বলেই দাবি তাঁর। তবে ফুটেজ প্রকাশ নিয়ে শেরিফ টমি উটেনের তরফে জানানো হয়, একমাত্র বিচারক নির্দেশ দিলেই তিনি বডি ক্যামের ফুটেজ প্রকাশ করবেন। যার পরে আদলতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন ব্রাউন যে অঞ্চলে থাকতেন সেই এলিজ়াবেথ সিটির স্থানীয় কাউন্সিলের সদস্যরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট বুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
শেরিফের মুখপাত্র অবশ্য জানান, তদন্তে যদি ডেপুটিদের মধ্যে কেউ দোষী সাব্যস্ত হন, তা হলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। সঙ্গে এ-ও জানান, ফেসবুক লাইভে নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন শেরিফ।