ইউক্রেন যুদ্ধ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে এখন মরণবাঁচন বিষয়। ফাইল ছবি।
ইউক্রেন যুদ্ধ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে এখন মরণবাঁচন বিষয়। রাশিয়ার বিরোধী দলের বেশ কয়েক জন নেতা থেকে শুরু করে রুশ কূটনীতিকদের একাংশ এমনটাই মনে করছেন। ওই অংশের মতে, ক্রেমলিনে কুর্সি বাঁচাতে হলে পুতিনকে যুদ্ধ জিততেই হবে। প্রাক্তন রুশ কূটনীতিক বরিস বোন্দারেভের মতে, চলতি যুদ্ধে যদি রাশিয়া জিততে না পারে, তা হলে সরতে হবে পুতিনকে। অন্য দিকে, পুতিনের সমালোচক তথা বিরোধী নেতা গ্রেগরি ইয়াভলেনেস্কির মতে, পুতিনের পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি মোটেই কথার কথা নয়, বেগতিক দেখলে তিনি তা করতেই পারেন।
রুশ-ইউক্রেন সংঘাত এক বছর অতিক্রম করলেও তা থামার লক্ষণ নেই। রুশ কূটনীতিকদের একাংশের মতে, যুদ্ধ থেকে পিছু হটার অবস্থায় নেই পুতিন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুতিন যখন ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দেন, সে সময়ে তার বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছিলেন বোন্দারেভ। জেনিভায় রাশিয়ার তরফে অস্ত্র নিয়ন্ত্রক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, “পুতিন কোনও সুপারহিরো নন, তাঁর কোনও সুপার পাওয়ারও নেই। তিনি এক জন একনায়ক মাত্র। ইতিহাস বলে, একনায়কদের সব সময়ই সরে যেতে হয়। তাঁরা যুদ্ধে জিততে না পারলে সমর্থকেরা সন্তুষ্ট হন না।’’ এর পরে বোন্দারেভ বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা এক দিন বুঝবেন পুতিনের আর প্রয়োজন নেই। পুতিন যে কিছুই করতে পারবেন না তাঁরা তা উপলব্ধি করতে পারবেন।’’
রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতির অন্যতম নেতা গ্রেগরি ইয়াভলেনেস্কি মনে করেন, যুদ্ধে জিততে পুতিন মরিয়া। সে জন্য তিনি যা খুশি করতে পারেন। পারমানবিক অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারেন পুতিন। তিনি অতীতে বেশ কয়েক বার পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইয়াভলেনেস্কির মতে, ইউক্রেন যদি ক্রাইমিয়া পুনর্দখলের চেষ্টা করে তা হলে পুতিন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি মনে করি, পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি কোনও কথার কথা নয়। এই ধরনের অস্ত্র অত্যন্ত গুরুতর বিষয়’’