— ফাইল চিত্র।
বিমান তখনও বিমানবন্দর থেকে ছাড়েনি। রানওয়ে ধরে ছুটছিল। ওড়ার ঠিক আগে আচমকাই বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে ফেললেন এক যাত্রী। বিমানসেবিকাদের তৎপরতায় বিপদের হাত থেকে রক্ষা মিললেও অভিযুক্ত যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কেন তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে ওই যাত্রীর আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের ‘হ্যালুসিনেশন’ বা বুদ্ধিভ্রম ঘটেছিল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডের চিয়াং মাই বিমানবন্দরে। যাত্রীবোঝাই একটি বিমান গন্তব্যের দিকে ওড়ার আগেই বিপত্তি ঘটে। ওই যাত্রী হঠাৎ বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে ফেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি পাইলটের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটি থামিয়ে দেওয়া হয়। তার পর ফের বিমানবন্দরের টার্মিনালে ফিরিয়ে আনা হয়।
চিয়াং মাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা জানান, এই ঘটনার জন্য ওই বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটে। বিমানটিকে ফের টার্মিনালে ফিরিয়ে আনার পর অভিযুক্ত যাত্রীকে নামানো হয়। তার পর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকটি কানাডার বাসিন্দা। তিনি ছুটিতে তাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। অভিযুক্ত যুবকের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে জানান, তাঁর মক্কেল বিমান ছাড়ার পরই বোধ করেন যে, তাঁর পিছনে অনেকে ছুটে আসছেন। সেটা ভেবেই ভয় পেয়ে যান। আইনজীবীর মতে, অভিযুক্তের বুদ্ধিভ্রম ঘটেছিল। তিনি সাময়িক ভাবে 'হ্যালুসিনেশন'-এ ভুগছিলেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, টার্মিনালে ফিরিয়ে আনার পরই সব যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয় বিমান থেকে। তার পর প্রযুক্তিবিদরা বিমানের নিরাপত্তা পরীক্ষা করেন। সব ঠিকঠাক রয়েছে দেখার পরেই বিমানটি ফের গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এক যাত্রীর কথায়, ‘‘এ ভাবে বিমানের দরজা খোলায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বিমানটি যদি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ হাজার ফুট উপরে থাকত, তবে কী হত?’’ উল্লেখ্য, গত মাসেই মেক্সিকোর এক বিমানবন্দরে এক যাত্রী আপৎকালীন দরজা খুলে বিমানের ডানায় উঠে পড়েছিলেন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিমান না ছাড়ায় অধৈর্য হয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ওই যাত্রী।