আল কায়েদার সহযোগী সংগঠনের ১২ জনকে গ্রেফতার করে গোটা দেশে ধারাবাহিক সন্ত্রাস ছড়ানোর পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার দাবি জানালো বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের দাবি, ধৃতরা সকলেই আল কায়দার সহযোগী সংগঠন আইকিউআইএস (আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট)-এর কর্মী। তাদের জেরা করে ঢাকার মিরপুরে একটি আড্ডায় হানা দিয়ে প্রচুর অস্ত্র ও বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করার দাবিও জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান জানান, ঈদ মিটে গেলেই গোটা দেশে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল এই জঙ্গিরা। এ বিষয়ে আলোচনা করতে জঙ্গিরা ঢাকায় একটি বৈঠকের বসার তোড়জোড় করছিল। ঢাকার সদর ঘাট এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে বুধবার দু’জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। বরিশাল ও খুলনা থেকে স্টিমারে করে বাকিরাও আসে। তখন তাদেরও আটক করা হয়।
র্যাবের দাবি, ধৃতদের মধ্যে মৌলানা মাইনুল ইসলাম ওরফে মাইন ওরফে বদিউল একিউআইএস-এর বাংলাদেশ শাখার প্রধান সমন্বয়ক। সে আগে জঙ্গি সংগঠন হরকতুল জিহাদ আল ইসলামি (হুজি)-র সঙ্গে যুক্ত ছিল। বাকিরাও কখনও না কখনও এই নিষিদ্ধ সংগঠনের হয়েই কাজ করত। র্যাবের মুখপাত্র জানান, হুজির প্রধান মৌলানা মুফতি মইনুদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লা কারাগার থেকে ফোন ও চিঠির মাধ্যমে বদিউল ও অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। অস্তিত্ব জিইয়ে রাখতে তারা স্লিপার সেলের মাধ্যমে মুক্তমনা ব্লগারদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে খুনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। আরও বড় সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করতেই জঙ্গিরা ঢাকার মিরপুরে একটি বাড়িতে আড্ডা গেড়েছিল। সেখানেই বুধবার বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল।