ক্রেমলিন যা জানিয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, ভারতে আসতে পারেন পুতিন। ফাইল চিত্র।
ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুট শহরে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর। বাখমুট দখল করতে পারলে ডনবাস শিল্পতালুক অনেকটাই রাশিয়ার হাতের নাগালে চলে আসবে। উল্টো দিকে ইউক্রেনও মরিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি দাবি করেছেন, গত কয়েক দিনে ১১০০-র বেশি রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ার পাল্টা দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। কূটনৈতিক-যুদ্ধও অব্যাহত। ইউক্রেনের পাশে ইউরোপ-আমেরিকা। রাশিয়ার পাশে চিন। শোনা যাচ্ছে, সফরসূচী এগিয়ে এনে সামনের সপ্তাহেই রাশিয়া যাবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। আজই আবার খবর মিলেছে, জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসতে পারেন পুতিন।
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার ঠিক আগেই ‘সীমাহীন বন্ধুত্বের’ চুক্তি করেছিল রাশিয়া ও চিন। গোটা যুদ্ধ-পর্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেনি চিন। যদিও যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনার বার্তা পাঠিয়েছে চিন। যদিও চিনের বার্তায় শুধু রাশিয়ার প্রতি বন্ধুত্বের সুর ছিল। তাদের অভিযোগ, রাশিয়ার কথা কেউ শুনছে না। তাদের অন্যায় ভাবে একঘরে করে রাখা হচ্ছে। এ সময়েই শি-র রাশিয়ার সফরের পরিকল্পনা পাকা হয়। গত মাসে একটি আমেরিকান সংবাদপত্র দাবি করে, এপ্রিল কিংবা মে মাসে মস্কো যাবেন শি। এখন শোনা যাচ্ছে মার্চেই রাশিয়া যাবেন তিনি। সামনের সপ্তাহেই।
এ দিকে, ক্রেমলিনের মন্তব্য চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ বছর জি২০ সম্মেলন বসছে ভারতে। ক্রেমলিন যা জানিয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, ভারতে আসতে পারেন পুতিন। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আগের সোভিয়েত ইউনিয়নের সীমান্ত পেরোননি পুতিন। গত বছর নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আয়োজিত জি২০ সম্মেলনে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছিলেন তিনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেছেন, ‘‘সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’’