রুবেন কিমুতাই লেন। ছবি সংগৃহীত
দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মী। ন’মাস পরে সুস্থ হয়ে জানতে পারলেন তাঁর চাকরিটি গিয়েছে। এমনকি সরকারি খাতায় তিনি মৃতও।
বস্তুত ওই পুলিশকর্মী মারা গিয়েছেন ভেবে নিয়েই চাকরি থেকে সরানো হয়েছিল তাঁকে। আর সেই রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরাই। যদিও মারা যাওয়ার কোনও প্রমাণ পুলিশ বিভাগের হাতে ছিল না। এমনকি ‘মৃত’ পুলিশকর্মীর দেহও খুঁজে পাননি তাঁরা।
ঘটনাটি কেনিয়ার। ওই পুলিশ কর্মীর নাম রুবেন কিমুতাই লেন। ন’মাস আগে একটি দুর্ঘটনায় জখম হন রুবেন। তারপর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রুবেনের বাড়ির লোক জানিয়েছেন, হাসপাতালের পাশাপাশি মর্গেও খোঁজ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রুবেনকে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়েই তাঁকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়। বাড়ির লোকের যুক্তি, ‘‘ওঁর ফোনও গত ন’মাস ধরে অফ ছিল। মৃত ভেবে নেওয়ার সেটাও একটা কারণ।’’
রুবেনের চিকিৎসা চলছিল কেনিয়ার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল কেনিয়াট্টা ন্যাশনাল হসপিটালে। ছবি: সগৃহীত
রুবেনের চিকিৎসকেরা যদিও জানাচ্ছেন, রুবেনের চিকিৎসা চলছিল কেনিয়ার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল কেনিয়াট্টা ন্যাশনাল হসপিটালে। গত ন’মাস তিনি সেখানেই ছিলেন। তারপরও তাঁর খোঁজ না পাওয়ার কারণ হাসপাতালের খাতায় রুবেনের কোনও নাম ছিল না। রুবেনের কাছে তাঁর পরিচয়ের কোনও প্রমাণ পত্র পাওয়া যায়নি তাঁকে ভর্তি করার সময়। পরে জ্ঞান ফিরলেও নিজের নাম মনে করতে পারেননি রুবেন। ফলে কেনিয়ার হাসপাতালে নামহীন রোগী হিসেবেই রয়ে যান রুবেন।
সম্প্রতি স্মৃতি ফিরে পান রুবেন। চিকিৎসকেদের নিজের পরিচয় জানান, তারপরই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
কিন্তু রুবেন তাঁর চাকরি শেষ পর্যন্ত ফিরে পাবেন কি না, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, রুবেনকে আবার চাকরিতে বহাল করা যায় কি না তা দেখা হচ্ছে। যদিও রুবেনের পরিবার জানিয়েছে, তিনি নিজে আর চাকরি করতে বিশেষ আগ্রহী নন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে বরং রুবেন আগাম অবসরের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।