সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্টিফেন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
হাত পরিষ্কার রাখাই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকাতে এই মুহূর্তে সব থেকে বড় হাতিয়ার। কিন্তু সব সময় হাত পরিষ্কার রাখাও যেমন সমস্যা আবার যেখানে সেখানে হাত ধুতে গেলেও করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অনেকেই স্পর্শ ছাড়া হাত ধোয়ার ব্যবস্থা তৈরি করেছেন নানান ভাবে। এবার এক নয় বছরের স্কুল পড়ুয়া তেমনই এক যন্ত্র তৈরি করে রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পেল।
স্টিফেন ওয়ামুকোটা কেনিয়ার পশ্চিম অংশের বুনগোমা এলাকার বাসিন্দা। স্টিফেন কাঠ, পেরেক আর ছোট একটি জলের ড্রাম দিয়ে বানিয়ে ফেলেছে এই হাত ধোয়ার মেশিন। যেটি ব্যবহার করার জন্য হাত দিয়ে মেশিন স্পর্শ করার প্রয়োজন নেই।
স্টিফেনের যন্ত্রটি একটি কাঠামোর মতো দেখতে। যেখানে দু’টি প্যাডেল রয়েছে। একটিতে পা দিয়ে চাপ দিলেই তরল হ্যান্ডওয়াশ বেরিয়ে আসছে। অন্যটিতে চাপ দিলে একটি ড্রাম থেকে জল পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিচে বেসিনের মতো করে রাখা হয়েছে একটি প্লাস্টিকের গামলা। হাত ধোয়া জল সেই গামলা হয়ে দূরে চলে যাচ্ছে পাইপের মাধ্যমে। ফলে এই যন্ত্র তৈরি করতে বিশেষ খরচও হয়নি।
আরও পড়ুন: করোনা আবহেও আলিঙ্গন! সংক্রমণের ভয় নেই এই ব্যবস্থায়
সংবাদ সংস্থা এএফপি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে এই যন্ত্রের একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছে। স্টিফেন জানিয়েছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে সে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাত ধোয়ার গুরুত্বের কথা জানতে পারে। তার পরই সে এই যন্ত্রটি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম মডেলকে শারীরিক কসরতের চ্যালেঞ্জ, কী অবস্থা হল দেখুন অলিম্পিয়ানের
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
স্টিফেনের এই যন্ত্রের কথা সামনে আসার পরই সবাই তার উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এমনকি তার নাম রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়। স্টিফেন একাই নয়, নানান ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর মোট ৬৮ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াট্টা। কেনিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ২৬০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮৩ জনের।