—প্রতীকী চিত্র।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে সদ্য পদত্যাগ করেছেন দেশের এক আমলা তথা রাওয়ালপিন্ডির প্রাক্তন কমিশনার লিয়াকত আলি চাট্টা। ভোটে জোর খাটিয়ে ফল পরিবর্তনের অভিযোগের পাশাপাশি তাঁর অভিযোগের মাত্রা আরও মারাত্মক। লিয়াকত প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ মেনেই গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এমন কারচুপি করা হয়েছে। এই অভিযোগ ওঠার পরে তদন্তের স্বার্থে উচ্চ-পর্যায়ের একটি কমিটি গড়ার কথা জানাল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
শনিবার চাট্টা প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, হেরে যাওয়া প্রার্থীদের জোর করে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে এমন ১৩টি ঘটনা ঘটেছে। তবে পাক নির্বাচন কমিশন সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে। তারা জানায়, এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডেকে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজা ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে ওই বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে স্থির হয়, সংশ্লিষ্ট কমিটি তিন দিনের মধ্যে জেলা রিটার্নিং অফিসার এবং অন্যান্য রিটার্নং অফিসারদের বক্তব্য রেকর্ড করে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেবে।
রাওয়ালপিন্ডির নতুন কমিশনার সইফ আনোয়ার জাপ্পাও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছেন, লিয়াকত এই নির্বাচনে কেবলমাত্র সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন। রাওয়ালপিন্ডির জেলা রিটার্নিং অফিসার এক সুরে বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া সমস্ত নিয়ম মেনে স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে। বাইরে থেকে কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়নি।
ভোটে কারচুপির প্রতিবাদে আজ সারা দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধী দল পিটিআইয়ের সমর্থকেরা। তার জেরে আংশিক ভাবে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।