জাপান এয়ারলাইন্স। ফাইল চিত্র।
বিমানে বসে থাকা পুরুষ যাত্রীটির হাবভাবে গোড়াতেই সন্দেহ হয়েছিল বছর তিরিশের বিমানবালার। মনে হয়েছিল, তাঁর জুতোয় বুঝি ক্যামেরা লুকোনো আছে। ঘাবড়ে যাননি বিমানবালা। শান্ত ভাবে ওই যাত্রীকে তিনি ডেকে নিয়ে যান বিমানের কিচেন-কেবিনে। তখনও স্মার্ট-ক্যামেরা চালু। আর গ্যালারি খুলতেই দেখা যায়, তাতে সব ‘আপস্কার্ট’ ছবি আর ভিডিয়ো। লুকিয়ে তোলা। জাপানের সেই অন্তর্দেশীয় বিমান গন্তব্যে পৌঁছতেই বিকৃতমনস্ক ওই পুরুষযাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন বিমানবালা। বছরখানেক আগেকার ঘটনা। কিন্তু সেই দিনের লাঞ্ছনা এখনও কাঁটার মতো বিঁধছে সেই তরুণী বিমানকর্মীকে।
তিনি একা নন, জাপানি বিমানকর্মীদের একটি শ্রমিক সংগঠন বলছে বিমানবালাদের ৬০ শতাংশই এমন অপমান-লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন রোজ। সম্প্রতি ১৬২৩ জন বিমানবালার উপর একটি সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের অর্ধেকেরও বেশি জন জানেন, গোপনে তাঁদের ছবি তোলা হচ্ছে বিমানে। জাপান এয়ারলাইন্সেও এমনটা আকছার ঘটছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সমীক্ষা হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন— এই তিন মাস। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর ২২.১ শতাংশ অর্থাৎ ৩৫৯ জন জানিয়েছেন, তাঁরা সরাসরি এই লাঞ্ছনার শিকার। অনুমতি ছাড়া লুকিয়ে মহিলাদের ছবি তোলা জাপানি আইনেও অপরাধ। কিন্তু অপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে কই? প্রশ্ন তুলছেন ভুক্তভোগীদের একটা বড় অংশ। বছরখানেক আগে এক বিমানকর্মী যে যাত্রীকে হাতেনাতে ধরেছিলেন, তারও তেমন সাজা হয়নি বলে সূত্রের খবর। লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন জেনেও সবাই মুখ খোলার সাহস পান না। সমীক্ষা বলছে, এই সংখ্যাটাও প্রায় ৬০ শতাংশ। অনেকের অভিযোগ, দোষ ধরে ফেললে পাল্টা শাসানিও শুনতে হয় তাঁদের।