ঢাকায় গ্রেফতার হওয়ার পর ধৃতেরা। —নিজস্ব চিত্র।
আল কায়দার ধাঁচে গড়ে ওঠা নতুন জঙ্গি সংগঠনের হদিশ মিলল বাংলাদেশে। ‘মুজাহিদ অফ বাংলাদেশ’ নামে এই সংগঠন ওসামা বিল লাদেনের ধাঁচে নাশকতা চালানোর ছক কষে এগোতে শুরু করেছিল বলে দাবি বাংলাদেশ প্রশাসনের। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মুজাহিদ অফ বাংলাদেশের মাথা জহিরুল ইসলাম-সহ মোট ৬ জনকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি।
ডিবি-র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকার এক পীরকে খুনের চক্রান্ত করেছিল এই সংগঠন। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে মুজাহিদ অফ বাংলাদেশের চাঁই জহিরুল ইসলাম ও তার পাঁচ শাগরেদকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগেই এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা। আল কায়দার কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করলেও, বাংলাদেশের আর এক জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র কাঠামোর সঙ্গে মিল রয়েছে মুজাহিদ অফ বাংলাদেশ-এর। এই সংগঠনের সদস্যরা অনেকগুলি করে ছদ্মনাম নিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালায়। সংগঠনের মাথা জহিরুল ইসলাম কোথাও জহির, কোথাও আনসার, কোথাও আবার ‘চূড়ান্ত লড়াই’ নামে পরিচিত। অন্য ধৃতরা হল— খন্দকার রাজেস সুবাহান ওরফে রাজু ওরফে 'কাঁচামরিচ' ওরফে 'আদার ব্যাপারী', আবু বকর সিদ্দিক ওরফে আবির ওরফে 'মৌমাছি' ওরফে 'নিয়মের অনিয়ম' ওরফে 'এক টুকরো মেঘ' ওরফে সাদা পাতা, আব্রাহাম আহম্মেদ আল তারেক, মোর্শেদুল ইসলাস ওরফে কিংমোর খান ও কাজি বাপ্পি আহম্মেদ ওরফে সাজ্জাদ ওরফে তারেক বিন জিয়া মোল্লা আক্তার মহম্মদ মনসুর। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ ও ১০টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন:
আইএস নেই বাংলাদেশে, সব মার্কিন চাল, ফুঁসে উঠল ঢাকা
মুজাহিদের মাথা-সহ যারা ধরা পড়েছে, তারা প্রত্যেকেই চাকুরিজীবী। বেতনের সিংহভাগ তারা সংগঠনের কাজে খরচ করত। ঢাকার কাছেই গাজিপুরের একটি নির্জন জঙ্গলে এই জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছিল। ফেসবুকে বেনামে নানা অ্যাকাউন্ট খুলে তারা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালাচ্ছিল বলে ডিবি জানতে পেরেছে।