২০১৯-এ কেটলিনের রোগ ধরা পড়ে। তিনি যে আর কোনও সন্তানের জননী হতে পারবেন না সে কথা বাপেরবাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে বলেছিলেন কেটলিন।
চ্যালিস ও তাঁর মেয়ে কেটলিন।
মেয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসক বলে দিয়েছেন কোনও ভাবেই তিনি আর সন্তানধারণ করতে পারবেন না। এ কথা শুনে স্থির থাকতে পারলেন না ওই তরুণীর মা। মেয়ের মুখে হাসি ফোটাতে এবং তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে তিনিই নিজের গর্ভে মেয়ের সন্তান ধারণ করলেন। আগামী মে মাসে সেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। ঘটনাটি আমেরিকার।
চ্যালিস স্মিথ। আট সন্তানের জননী বছর পঞ্চাশের এই মহিলা। তাঁর মেয়ে কেটলিনের সন্তান নিজের গর্ভে ধারণ করেছেন চ্যালিস। কেটলিনের এক সন্তান। প্রথম সন্তান জন্মানোর পর পরই তাঁর জটিল রোগ ধরা পড়ে। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে, কেটলিন আর কোনও দিন মা হতে পারবেন না।
কিন্তু ছোটবেলা থেকেই কেটলিনের স্বপ্ন ছিল অনেক সন্তানের জননী হওয়ার। প্রথম সন্তান গর্ভে আসার পর কেটলিন স্থির করেছিলেন পরে আরও একটি সন্তানের মা হবেন তিনি। কিন্তু ২০১৯-এ কেটলিনের রোগ ধরা পড়ে। তিনি যে আর কোনও সন্তানের জননী হতে পারবেন না সে কথা মাকে বলেছিলেন তিনি।
মেয়ের মুখে হাসি ফোটানো যায় কী ভাবে, কী ভাবে তাঁকে সন্তানসুখ দেওয়া যায় এই ভাবনাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন চ্যালিস। মনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে শেষমেশ মেয়ে কেটলিনের কাছে প্রস্তাবটি দিয়েই ফেলেন তিনি। মায়ের প্রস্তাবে প্রথমে বেশ বিস্মিত হয়েছিলেন কেটলিন। কিন্তু পরে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন।
এর পর চ্যালিসের নানা রকম শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। এবং দেখা যায় সন্তানধারণের জন্য সবক’টি পরীক্ষাতেই তিনি পাশ করেছেন। চ্যালিস বলেন, “চিকিৎসকরা সারোগেসির জন্য সবুজ সঙ্কেত দিতেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমার দেহে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়।’’ চ্যালিস এখন সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। তাঁর কথায়, “আমার গর্ভে থাকা নাতনিকে দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছি।”