মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এপি।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দু’দিনের সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়াদিল্লি ছাড়াও আমদাবাদে ‘কেমছো ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে এক মঞ্চে দেখা যাবে মোদী-ট্রাম্পকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ভারত। কারণ এই সফরেই বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। এবং তা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ভারত সফর নিয়ে উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “মোদী এক দারুণ ব্যক্তিত্ব। এই সফরের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এ মাসের শেষে ভারতে যাব।”
মঙ্গলবারই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ট্রাম্প। এই কথোপকথনের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, “মোদী জানিয়েছেন আমদাবাদে আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে কয়েক লক্ষ মানুষ হাজির থাকবেন।” এর পরই এ প্রসঙ্গে কৌতুকের ছলে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমার একটি জনসভায় যেখানে ৪০-৫০ হাজার লোক হয়, সেখানে ভারতে বিমানবন্দর থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৫০-৭০ লক্ষ মানুষ ভিড় করবেন, বিষয়টা ভাবতেই অস্বস্তি লাগছে।”
আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামেই জনসভার আয়োজন হয়েছে। সেখানেই এক মঞ্চে দেখা যাবে মোদী-ট্রাম্পকে। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “জানেন, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। মোদী বানাচ্ছেন।”
ভারত সফর নিয়ে ট্রাম্প উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার পরই কয়েক ঘণ্টা পরই টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আমাদের মাননীয় অতিথির অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটা একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সফর। ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করবে এই সফর।”
আরও পড়ুন: আপ বিধায়কের কনভয়ে গুলি, হত ১, পুলিশ বলছে ‘ব্যক্তিগত শত্রুতা’
আরও পড়ুন: মেরুকরণের ধার কি কমছে? আপ-ঝড়ে অমিত কোথায়
তবে এই সফরকে ঘিরে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তা হল বাণিজ্য চুক্তি। সূত্রের খবর, ট্রাম্প চাইছেন আমেরিকার কৃষি এবং ডেয়ারি পণ্যের জন্য নরেন্দ্র মোদী ভারতের বাজার আরও বেশি করে খুলে দিন। পাশাপাশি, মোদী সরকার হৃৎপিণ্ডের স্টেন্টের দামের যে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে, তা তুলে নেওয়া হোক, এমনটাও চাইছেন ট্রাম্প। ঠিক একই ভাবে মোদী সরকার চাইছে, ভারত থেকে রফতানি করা ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম থেকে বাড়তি শুল্ক তুলে নিন ট্রাম্প। এ দেশে কৃষি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের জন্য আরও বেশি করে মার্কিন বাজার খুলে দেওয়া হোক। গত কয়েক বছর ধরেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দু’দেশই।
তা হলে কি এই সফরে শেষ পর্যন্ত ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি কোনও পরিণতি পাবে? সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ভারত একটা কিছু করার আশায় রয়েছে। দেখি ওরা কী ভূমিকা নেয়। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তা হলে এই চুক্তি হবে।”