—প্রতীকী চিত্র।
রাতের অন্ধকারে উগান্ডার একটি স্কুলে আবাসিকদের উপরে নৃশংস হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্তত আট জন হাসপাতালে ভর্তি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ উগান্ডার কাসেস জেলার এমপন্ডে এলাকার ওই স্কুলে হানা দেয় এক দল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। ছেলেদের আবাসনে বাইরে থেকে দরজা আটকে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মেয়েদের আবাসনের দরজা অবশ্য খুলেই রাখে। প্রাণ বাঁচাতে মেয়েরা বাইরে পালাতে চাইলে তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয় কয়েক জনকে। বেশ কয়েক জন ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বাইরে থেকে দরজা আটকানো থাকায় ছেলেদের আবাসনে পুড়ে মারা গিয়েছে বেশ কিছু পড়ুয়া। এক একটি দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে, চেনা যাচ্ছে না। সেগুলির পরিচয় জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এখনও খোঁজ নেই বেশ কয়েক জনের।
উগান্ডা প্রশাসনের মতে, গত এক দশকে এটি সে দেশে অন্যতম ভয়াবহ হামলা। সন্দেহের তির আইএসপন্থী জঙ্গি সংগঠন অ্যালায়েড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এডিএফ)-এর দিকে। কঙ্গোর সীমান্ত ঘেঁষা উগান্ডার পশ্চিমের এই এলাকাগুলিতে এডিএফ সুযোগ পেলেই হামলা চালায়। পুলিশের সন্দেহ, অপহৃতা ছাত্রীদের নিয়ে জঙ্গিরা কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জঙ্গলের দিকে পালিয়েছে। তাদের খোঁজে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। আকাশপথে হেলিকপ্টার নিয়েও তাদের খোঁজ চলছে।