London

ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের তিন জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার লন্ডনে

প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন কূহরাজ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ১৮:০৫
Share:

পূর্ণ ও তাঁর তিন বছরের সন্তান। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে

লন্ডনে নিজেদের ঘরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক দম্পতি ও তাঁদের তিন বছরের শিশু সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে দানা বেঁধেছে তীব্র রহস্য। মঙ্গলবার ব্রেন্টফোর্ড এলাকার ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কুহরাজ সীতাম্পরন্থন, তাঁর স্ত্রী পূর্ণ কামেশ্বরী শিবরাজ এবং তিন বছরের ছেলে কৈলাস কুহরাজের ক্ষতবিক্ষত দেহ। তার পরেই তদন্তে নেমেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন কুহরাজ।

Advertisement

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পূর্ণ কামেশ্বরীর এক আত্মীয় খবর দেন পুলিশে। পূর্ণ ঠিক আছেন কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ওই আত্মীয় পুলিশকে অপ্রীতিকর কোনও সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছিলেন পুলিশকে। ওই রাতে পুলিশ ওই এলাকায় কয়েক বার গিয়ে পূর্ণর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন পুলিশকর্মীরা। সোমবার সকালে ফের একই চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে না পেরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন তাঁরা।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ইনস্পেক্টর সাইমন হার্ডিং বলেন, ‘‘রবিবার দিনভর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে পূর্ণকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। সেই কারণেই সোমবার জোর করে বাড়িতে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মনে করা হচ্ছে ৪২ বছরের কুহরাজ দু’জনকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সবিস্তারে কিছু জানাতে চায়নি পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: চিনের চাপ বাড়িয়ে এলএসি-তে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে ভারত

আরও পড়ুন: উন্নাও ‘গণধর্ষিতা’র ভাইপো নিখোঁজ, ভয় দেখাতে অপহরণ?

এই খুনের তদন্তভারও বর্তেছে সাইমনের উপর। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তের গতিপ্রকৃতি এখনও অনুমানের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। খুনের তদন্ত শুরু হয়েছে। খুনের ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তার ঘটনাক্রম মেলানোর চেষ্টা চলছে।’’ পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ওই দম্পতি এবং তাঁদের সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি কারও। তাঁদের সম্পর্কে কেউ কোনও তথ্য দিতে পারলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। অন্য দিকে ভারতেও ওই পরিবারের আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement