ছবি- শাটারস্টকের সৌজন্যে।
হয়নি, তা নয়। ভয়াবহ দুর্ঘটনাও ঘটেছে একাধিক। তবু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গত ৭৪ বছরে গোটা বিশ্বে বিমানযাত্রীদের মৃত্যু সবচেয়ে কম হয়েছে যে বছরগুলিতে, ২০১৯ তাদের মধ্যে তৃতীয়। আর গত সাড়ে সাত দশকে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা সবচেয়ে কম হয়েছে যে বছরগুলিতে, ২০১৯ তাদের মধ্যে সপ্তম।
বিশ্বে বিমান দুর্ঘটনার যাবতীয় রেকর্ড রাখে যারা সেই ‘এভিয়েশন সেফ্টি নেটওয়ার্ক’ এই খবর দিয়েছে।
২০১৯ সালে বিশ্বে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে মোট ২০টি। যাত্রীবাহী ও মালবাহী বিমান-সহ। প্রাণ হারিয়েছেন ২৮৩ জন। বিমান দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ইথিওপিয়ায়। ১৫৭ জন।
অসামরিক বিমান পরিবহণের ইতিহাস বলছে, আগের বছরগুলির তুলনায় বিমানযাত্রীরা অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করেছেন গত বছরে।
এভিয়েশন সেফ্টি নেটওয়ার্ক-এর দেওয়া পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অসামরিক বিমানযাত্রীদের মৃত্যু সবচেয়ে কম হয়েছে বছরতিনেক আগে। ২০১৭-য়। সে বছর বিশ্বে ১০টি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪৪ জন বিমানযাত্রীর। সেই সংখ্যাটি কতটা কম ছিল, তা বোঝা যাবে যদি আমরা দ্বিতীয় নিরাপদ বছরটির পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই। সেই বছরটি ২০১৩। যে বছরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৫৬ জন বিমানযাত্রীর। ২৩টি বিমান দুর্ঘটনায়।
সবচেয়ে বেশি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। ৮০টি। তবে বিশেষ করে গত ২০ বছরে যাত্রীবাহী ও মালবাহী বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। ২০১৫ এবং ২০১৭, দু’টি বছরেই বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল ১০টি করে।
তবে অসামরিক বিমান পরিবহণের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বছরটি ছিল ১৯৭২। দুর্ঘটনা ও যাত্রীদের মৃত্যু-সংখ্যার নিরিখে। ওই বছর বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল ৬৫টি। আর তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ হাজার ৪৭২ জন।