আতঙ্ক-রেশ। ফ্লরিডার পার্কল্যান্ডে স্কুলের বাইরে বেরিয়ে কান্না পড়ুয়াদের
স্কুল ছুটি হতে আর কিছু ক্ষণ। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটেয় হঠাৎ বেজে উঠল আগুন লাগার বিপদঘণ্টি। মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস স্কুলে অনেকেই তখন ভাবছে, আজই তো অগ্নিনির্বাপণের মহড়া হল। আবার ঘণ্টা কেন!
পরপর গুলির শব্দে মুহূর্তে ভাঙল ভুল। বছর উনিশের সশস্ত্র আততায়ী, ওই স্কুলেরই বহিষ্কৃত ছাত্র নিকোলাস ক্রুজ তত ক্ষণে তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে। তার গুলি কেড়ে নিয়েছে ১৭টি প্রাণ। জখম ১৬। এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে অবশ্য। পুলিশের ধারণা, বহিষ্কারের বদলা নিতেই হত্যাকাণ্ড।
ফ্লরিডার সেনেটর বিল নেলসন জানান, সেমি-অটোম্যাটিক অ্যাসল্ট রাইফেল এআর-১৫ আর অগুন্তি গুলি নিয়ে ঢুকে ইচ্ছে করে বিপদঘণ্টি বাজিয়েছিল নিকোলাস। সে জানত, ওই আওয়াজে সবাই ক্লাসরুম ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। একসঙ্গে অনেককে মারতে পারবে।
পুলিশি প্রহরায় স্কুল ছাড়ছে ছাত্র-ছাত্রীরা
সবাই যখন পালাচ্ছে, সেই ভিড়েই সেঁধিয়ে যায় নিকোলাস। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। স্কুলের শিক্ষিকা মেলিসা ফাকোস্কি বলছেন, ‘‘খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমাদের সরকার, আমাদের দেশ ব্যর্থ শিশুদের কাছেও। আমাদের কেউ নিরাপদ রাখতে পারেনি।’’
পুলিশের হাতে বন্দি বন্দুকবাজ নিকোলাস।
২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের বাস ফ্লরিডায়। বন্দুকের পারমিট রয়েছে ১৯ লক্ষের (জানুয়ারির হিসেব)। অন্য প্রদেশের তুলনায় যা বেশ বেশি। দু’বছর আগে এখানকার অরল্যান্ডোয় নাইটক্লাবে বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ যায় ৪৯ জনের।
জানুয়ারিতে লডেরডেল বিমানবন্দরে গুলি করে পাঁচ জনকে মারে আততায়ী। তবু ফ্লরিডায় বন্দুক রাখা নিয়ে কোনও ঢাক গুড়গুড় নেই। এ দিনের স্কুলে হামলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে দুঃখপ্রকাশ করলেও বন্দুক আইন নিয়ে মুখ খোলেননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।