চার দিকে শুধু ধ্বংসের চিহ্ন। ছবি: রয়টার্স।
ভয়াবহ বন্যায় জার্মানিতে একটি শহর থেকেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন ১৩০০ জন। মৃত্যু হয়েছে অন্ততপক্ষে ৫৫ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
যে দিকে তাকানো যায় শুধু জল আর জল। মাঝে মাঝে বাড়ির মাথাগুলো উঁকি মারছে। দেখে মনে হবে জনবসতির উপর দিয়ে নদী বয়ে গিয়েছে। কোথাও একতলা, তো কোথাও আবার দোতলা সমান জল। কোথাও আবার ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমনই ছবি উঠে আসছে পশ্চিম এবং দক্ষিণ জার্মানি থেকে।
গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিম এবং দক্ষিণ জার্মানিতে প্রবল বৃষ্টি চলছে। সেই বৃষ্টির জেরে জার্মানির পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভাগে এলাকাগুলিতে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। আচমকাই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
ছবি: রয়টার্স।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেটে। শুধু ওই অঞ্চলেই ১৩০০ মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে ধারণা স্থানীয় প্রশাসনের। জার্মানির আবহাওয়া দফতরের এক মুখপাত্র অ্যান্ড্রিয়াস ফ্রেডরিক জানান, বেশ কিছু জায়গায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা গত ১০০ বছরেও হয়নি।
পশ্চিম জার্মানির বেনেলাক্স অঞ্চল, উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া এবং রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ওই সব অঞ্চলে কোথাও ১৫০ মিলিমিটার, কোথাও আবার ২০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
শুধু জার্মানি নয়, বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামেও। সে দেশের দক্ষিণ ভাগের ওয়ালোনিয়ায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওয়ালোনিয়া বেলজিয়াম-জর্মানির সীমান্ত লাগোয়া। জার্মানির রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেটও সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় সেখানে বন্যার প্রভাব পড়েছে ওয়ালোনিয়ায়।
বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নেদারল্যান্ডসেও। বৃষ্টির জেরে মিউসে নদীর জল বাড়তে শুরু করায় মাসট্রিচ শহরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।