ছটফটে সুস্থসবল জেসি ব্রাউনের মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না তার আত্মীয়-পরিজনেরা। প্রতীকী ছবি।
ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় পা মচকে গোড়ালিতে চোট লেগেছিল। দিন দুয়েকের মধ্যেই কালশিটে পড়ে যায় গোড়ালিতে। সেখানে শুরু হয় মাংসখেকো জীবাণুর সংক্রমণ। তবে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও বাঁচানো যায়নি আমেরিকার ফ্লরিডার এক নাবালককে। ট্রেডমিলে পড়ে যাওয়ার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই মৃত্যু হয় ১১ বছরের ওই স্কুলছাত্রের।
ছটফটে সুস্থসবল জেসি ব্রাউনের মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না তার তুতো বোন মেগান ব্রাউন। ‘ফক্স নিউজ়’কে তিনি জানিয়েছেন, ট্রেডমিলে পড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত মোটোক্রস বাইকে চড়ে দাপিয়ে বেড়াত সে। ট্রেডমিলে দৌড়তে গিয়ে পড়ে যাওয়ার কয়েক দিন পরেই জেসির পায়ে চুলকানি শুরু হয়েছিল। মেগান বলেন, ‘‘ভাইয়ের পায়ে বেগনি আর লাল ছোপ ছোপ হয়ে গিয়েছিল। অনেকটা চোট-আঘাত লাগলে যেমনটা হয়। তবে তা দ্রুত বাড়ছিল... কয়েক দিনের মধ্যেই ওর সমস্ত দেহের যন্ত্র বিকল হয়ে যায়।’’
জেসির গোড়ালিতে ওই উপসর্গ বাড়তে থাকায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, গ্রুপ এ স্ট্রেপ (আইগ্যাস) সংক্রমণ হয়েছে জেসির। চোটের জায়গায় আক্রমণ করেছে মাংসখেকো ব্যাক্টেরিয়া। সেই জীবাণুর আক্রমণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তার মস্তিষ্কেও। প্রদাহ শুরু হয় সেখানে। কিছু দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রটির।
অরল্যান্ডোর শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যান্ডিস জোন্স জানিয়েছেন, আমেরিকার শিশুদের মধ্যে এই সংক্রমণ বাড়ছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা ভয়াবহ নয়। যদিও কয়েকটি বিরল কেসে দেখা গিয়েছে, এর থেকে মাংসখেকো সংক্রমণ হয়। জোন্স বলেন, ‘‘কয়েকটি ক্ষেত্রে এর থেকে ফুসফুসেও সংক্রমণ ছড়িয়ে প়ড়ে বলে মনে করা হয়। যদিও অতিমারি-পরবর্তী পর্বে এ ধরনের সংক্রমণে বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। রোগীর দেহে নানা জায়গা দিয়ে এই ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করতে পারে। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।’’