হামলার পর।
ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০০ জন সেনার মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম ৫০-এরও বেশি। সেনা সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধেয় মসজিদে প্রার্থনার সময়ে ওই হামলা চালায় জঙ্গিরা। মুহূর্তের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় মসজিদ প্রাঙ্গণ। ছিন্নভিন্ন দেহগুলির মাঝে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন জখমেরা। পরে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইয়েমেনের সেনা ও প্রশাসন সূত্রের দাবি, ইরানের মদতে পুষ্ট হুথি জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে। যদিও সরাসরি এ কথা স্বীকার করেনি হুথি গোষ্ঠী। হুথি জঙ্গিদের সঙ্গে সৌদি আরব সমর্থিত ইয়েমেন সেনার বিবাদ নতুন নয়। তবে ইয়েমেনে সম্প্রতি এত বড় হামলার নজির নেই।
সেনা সূত্রের খবর, রাজধানী সানা থেকে মাত্র ১৭০ কিলোমিটার দূরে মারিবের পরিস্থিতি আপাত শান্তই ছিল। শুক্রবার নাহাম প্রদেশে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী একটি জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালানোর পরে পরিস্থিতি বিগড়োতে শুরু করে। তার বদলা নিতেই শনিবারের হামলা বলে মনে করছে প্রশাসন। বেশ কিছু জঙ্গিও নিহত ও জখম হয়েছে বলে খবর। ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদি মসজিদে হামলার নিন্দা করে বলেছেন, এটি ‘কাপুরুষ জঙ্গিদের কাজ’। ইয়েমেন-সহ এশিয়ার এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার জন্য ইরানকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।