ছবি: এএফপি।
গত সপ্তাহেই সন্দেহজনক একটি প্যাকেট পাঠানোর চেষ্টা হয়েছিল হোয়াইট হাউসে। স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে। কিন্তু মার্কিন ডাক বিভাগের সন্দেহ হওয়ায় হোয়াইট হাউসে সেই প্যাকেটটি পাঠানোর আগেই শুরু হয় তদন্ত। দেখা যায়, বিষাক্ত রাইসিন রয়েছে ওই প্যাকেটের মধ্যে রাখা খামের ভিতরে। নড়েচড়ে বসেন সিক্রেট সার্ভিস থেকে শুরু করে এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা। অবশেষে সেই বিষ পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কানাডার এক মহিলাকে। তবে তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
দ্য রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের তরফে গত শনিবার জানানো হয়েছিল, রাইসিন ভর্তি ওই খামের তদন্তে তাদের সাহায্য চেয়েছে এফবিআই। প্রাথমিক ভাবে মার্কিন গোয়েন্দারা সন্দেহ করছিলেন যে, ওই খাম কানাডা থেকেই পাঠানো হয়েছে। মার্কিন ডাক বিভাগেও খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু হয়। কানাডার নাগরিক ওই মহিলাকে সম্ভবত গত কাল হেফাজতে নিয়েছে মার্কিন পুলিশ। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। কিসের জন্য ওই বিষ ট্রাম্পকে পাঠানো হচ্ছিল, তা-ও পরিষ্কার নয়। এফবিআই শুধু এক বিবৃতিতে বলেছে, এক জন গ্রেফতার হয়েছে, তদন্ত চলছে।
ক্যাস্টর বিন থেকে তৈরি রাইসিন এতটাই মারাত্মক বিষ যে এর সামান্যতম অংশ মানবদেহে গেলে তার ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু অনিবার্য। তবে এটাই প্রথম বার নয়। ২০১৮-এও রাইসিন পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল ট্রাম্পকে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও দু’বার এই একই বিষ মেশানো খাম পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দু’জনকে।
আরও পড়ুন: ‘টুইনডেমিক’! আমেরিকায় আতঙ্ক ফ্লুরও