সর্বভারতীয় যুব পদেও যুবরাজ, ছোঁয়া পরিবারের

রাজ্যে যুব তৃণমূলের ভার আগেই পেয়েছিলেন ‘যুবরাজ’। এ বার একই সঙ্গে তাঁকে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করা হল! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন যুব তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসা হল মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুকে। যিনি কয়েক মাস আগেই যুব সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি হয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৫৭
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূল ভবনে। ছবি: সুদীপ আচার্য

রাজ্যে যুব তৃণমূলের ভার আগেই পেয়েছিলেন ‘যুবরাজ’। এ বার একই সঙ্গে তাঁকে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করা হল! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন যুব তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসা হল মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুকে। যিনি কয়েক মাস আগেই যুব সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি হয়েছিলেন। দলের মধ্যে ‘আহমেদ পটেল’ মুকুল রায়ের গুরুত্ব কমিয়ে ‘রাহুল গাঁধী’ অভিষেককে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই সিদ্ধান্ত তারই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

তৃণমূলের এক তরুণ সাংসদের কথায়, “শুভ্রাংশু আগে কার্যনির্বাহী সভাপতি ছিলেন। এখন সাধারণ সম্পাদক পদে নামিয়ে দেওয়া হল। আবার যিনি রাজ্য সভাপতি, তাঁকেই সর্বভারতীয় সভাপতি করা হল! তার মানে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের (মুকুল) ডানা ছাঁটা অব্যাহত।” যদিও দলের অন্য একাংশের ব্যাখ্যা, নতুন দায়িত্ব পেয়ে যুব তৃণমূলে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছেন অভিষেক। সেই জন্যই বিধায়ক শুভ্রাংশুকে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

অভিষেককে পাশে বসিয়ে রবিবার তৃণমূল ভবনে যুবদের যে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাতে অবশ্য শুভ্রাংশুর সঙ্গেই সাধারণ সম্পাদক পদে আরও চার জন আছেন। সৌমিক হোসেন, প্রিয়দর্শিনী মল্লিক, সুশান্ত মাহাতো এবং সুনির্মল বিশ্বাস। যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি হয়েছেন, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, অর্ঘ্য রায় প্রধান, ইন্দ্রনীল রায় এবং অমিত ঘোষ। সংগঠনের সম্পাদক করণ শর্মা, বিনয় মিশ্র, পূজা পাঁজা, অভিজিৎ কর্মকার, অভীক মজুমদার, রাজীব ঘোষাল, বিশ্বজিৎ ঘোষ ও সম্রাট মুখোপাধ্যায়। পুরনো ‘যুবা’র করণ, বিনয়েরা অভিষেকের হাত ধরেই চলে এসেছেন মূল যুব সংগঠনে।

Advertisement

রাজ্য ও জেলা স্তরে নতুন যুব নেতৃত্বে অবশ্য পরিবারতন্ত্রের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে। স্বয়ং অভিষেক যেমন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো, তেমনই সাধারণ সম্পাদক প্রিয়দর্শিনী মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা। সহ-সভাপতি ইন্দ্রনীল লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থী, গায়ক সৌমিত্র রায়ের ভাই। সম্পাদক পূজা মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে। উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সৌম্য বক্সী সঞ্জয় ও বিধায়ক স্মিতা বক্সীর ছেলে, দক্ষিণ কলকাতার যুব সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই।

পার্থবাবু জানিয়েছেন, দার্জিলিং পাহাড়ে যুব তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন ভূপেন্দ্র লেপচা। আলিপুরদুয়ারে সভাপতি সমর ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি মতিলাল কুজুর। দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাপতি বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা। উত্তর ২৪ পরগনায় সভাপতি হয়েছেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। পশ্চিম মেদিনীপুরে যুব সভাপতি হয়েছেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। হুগলিতে যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয়েছে প্রৌঢ় দিলীপ যাদবকে। তবে ঘোষিত সকলে শেষ পর্যন্ত এই পদে থাকবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বর্ধমান সদর, মালদহ এবং হাওড়ার কমিটি পরে ঘোষণা হবে বলে পার্থবাবু জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement