শ্যামল সেন কমিশনে ঢোকার মুখে সুদীপ্ত সেন।—নিজস্ব চিত্র।
সারদা সংস্থার যে সাফারি সফট্ওয়্যার রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে আমানতকারীদের তালিকা তৈরি, নয়ছয় হওয়া টাকার হিসেব কষা এমনকী প্রতারিতদের একাংশকে টাকা ফেরানো হয়েছে, সেই সফট্ওয়্যারই ভুলে ভরা বলে এ বার দাবি তুললেন সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। শুক্রবার শ্যামল সেন কমিশনে গিয়ে তিনি ওই দাবি করেন। সুদীপ্তর এই দাবির পরে বিষয়টি যাচাই করার জন্য সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নিযুক্ত সিবিআই, এসএফআইও, সেবি, ইডি এবং রাজ্য সরকারের সিট-কে ডেকে পাঠাল কমিশন। শুক্রবার কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার সেন জানান, দিন কয়েক আগেই সুদীপ্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন। এ দিন সেই পিটিশন কমিশনে পেশ করেন সুদীপ্তের আইনজীবী নরেশ বালোটিয়া। কমিশন সূত্রের খবর, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ওই সব তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
শ্যামলবাবু জানান, পিটিশনে সুদীপ্ত জানিয়েছেন তাঁর সংস্থার সাফারি সফট্ওয়্যারের রেকর্ডে বিস্তর গলদ রয়েছে। ফলে তাতে হিসেব ঠিক হয়নি। অর্থাৎ সারদার আমানতকারীর সংখ্যাতেও যে গরমিল রয়েছে তা জানাতে চেয়েছেন সুদীপ্ত। একই সঙ্গে টাকার হিসেবেও গরমিল রয়েছে।
কিন্তু ওই সফট্ওয়্যারের উপরে ভিত্তি করেই তো এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লক্ষ আমানতকারীর টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে! তা হলে, এত দিন পরে কেন ওই সফট্ওয়্যারের রেকর্ডে ভুল থাকার কথা জানালেন সুদীপ্ত? এ নিয়ে কি তাঁকে কোনও প্রশ্ন করা হয়েছে? কোনও জবাব মেলেনি কমিশনের কাছ থেকে।