যুক্তি-নিয়ম শিকেয়, বশ্যতাই বিধি নব তুঘলকের এই বঙ্গে

তিনি চান না, তাই প্রকাশ্যে খুন-ধর্ষণের হুমকি দিয়েও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াতে পারেন তাপস পাল, অনুব্রত মণ্ডল, মনিরুল ইসলামেরা! পুলিশ তাঁদের টিকিও ছোঁয় না। তিনি চান, তাই শোকজ ছাড়াই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় সরকারি হাসপাতালের অধিকর্তা-চিকিৎসককে! মনীষীদের জন্মদিন পালন বদলে যায় তাঁরই মর্জিতে! কারও কোনও প্রশ্ন তাঁর অপছন্দ হলে পুলিশ প্রশ্নকর্তাকে মাওবাদী বলে ধরে! আবার, তাঁরই প্রসাদে সিনেমার প্রযোজক রাতারাতি ফেঁপে-ফুলে শিল্পপতি তথা বিদ্বজ্জন বনে যান!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৪৪
Share:

তিনি চান না, তাই প্রকাশ্যে খুন-ধর্ষণের হুমকি দিয়েও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াতে পারেন তাপস পাল, অনুব্রত মণ্ডল, মনিরুল ইসলামেরা! পুলিশ তাঁদের টিকিও ছোঁয় না। তিনি চান, তাই শোকজ ছাড়াই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় সরকারি হাসপাতালের অধিকর্তা-চিকিৎসককে! মনীষীদের জন্মদিন পালন বদলে যায় তাঁরই মর্জিতে! কারও কোনও প্রশ্ন তাঁর অপছন্দ হলে পুলিশ প্রশ্নকর্তাকে মাওবাদী বলে ধরে! আবার, তাঁরই প্রসাদে সিনেমার প্রযোজক রাতারাতি ফেঁপে-ফুলে শিল্পপতি তথা বিদ্বজ্জন বনে যান!

Advertisement

এমন আরও কত কী!

আসল কথা, তিনি কী চাইছেন! যুক্তি-তর্ক-আইন-কানুন-প্রশাসন বাকি সব সেখানে তুচ্ছ। যার অন্যতম উদাহরণ পুলিশ অফিসার কে জয়রামনের ঘটনা। সৎ, দক্ষ এবং কড়া অফিসার হিসেবে পুলিশ মহলে পরিচিত তিনি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে দোষীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁর তদন্তে উঠে এসেছিল এসজেডিএ-র সঙ্গে যুক্ত একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। এসজেডিএ-র প্রাক্তন সিইও গোদালা কিরণকুমারকে গ্রেফতারও করেন তিনি আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর রোষে পড়ে যান জয়রামন। রাতারাতি তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন সিআইডি তদন্তেও গোদালার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, জয়রামন ঠিক পথেই এগোচ্ছিলেন। রাজ্যের এক আমলার বক্তব্য, জয়রামনের মতো যাঁরাই নীতি-পদ্ধতি মেনে কাজ করতে চাইছেন, তাঁদেরই মুখ্যমন্ত্রীর খামখেয়ালিপনার স্বীকার হতে হচ্ছে। এতে প্রশাসনের মনোবল ভাঙছে। অবক্ষয়ের পথে এগোচ্ছে রাজ্য।

Advertisement

এমনটিই তো ছিল মহম্মদ বিন তুঘলকের সেই আমল! ইতিহাস বলে, ৬৬০ বছর আগে তাঁর শাসনকালে (১৩২৫-৫১ সাল) মহম্মদ বিন তুঘলক কখনও পূর্ব ভারতে অভিযান চালাননি। সাড়ে ছয় শতাব্দী পর গোটা পূর্ব ভারত না হলেও পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য সেই অভাব অনেকটাই মিটিয়ে দিচ্ছেন আর এক তুঘলক। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য প্রশাসনের প্রাক্তন ও বর্তমান অনেক কর্তাই মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রীর তুঘলকি আচরণের জেরে যে ভাবে সব ক্ষেত্রে অবক্ষয় শুরু হয়েছে অতীতে তার বিশেষ নজির নেই। এবং মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো মমতাকেও ইতিহাসের এই কারণেই মনে রাখা উচিত।

১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল গঠনের গোড়া থেকে তিনি কী ভাবে দল চালিয়ে আসছেন, এত দিনে তা সকলের জানা হয়ে গিয়েছে। দলের সভানেত্রী হিসাবে তিনিই যে শেষ কথা, এ-ও কোনও নতুন তথ্য নয়। দল এবং তার অনুগত ছাত্র-যুব-মহিলা-শ্রমিক-কৃষক সংগঠনে জেলা থেকে রাজ্য স্তরে নেতা কারা হবেন, তা ঠিক হয় মমতার অঙ্গুলি হেলনে। আবার, পছন্দ না হলে নেতা-নেত্রীর পদ বা ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর কথাতেই। এখন যেমন, তৃণমূল যুবার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের পথ প্রশস্ত করতে ডানা ছাঁটা পড়েছে মুকুল রায়ের। সভানেত্রীর এ হেন কাজ দেখে এই বঙ্গে একটি চালু কথাই হল, ‘তৃণমূলে পোস্ট (মমতা) একটা। বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট’!

২০১১ সালের মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুঘলকি কর্মকাণ্ডে কোনও ভাঁটা পড়েনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানা মহাকরণ থেকে নবান্নে বদল হলেও তিনি প্রশাসন চালাচ্ছেন দলের কায়দাতেই, একচ্ছত্র দাপটে। তিন বছরে এমন বিচিত্র অভিজ্ঞতায় প্রশাসনের শীর্ষমহলের একাংশ মনে করেন, আমলা নয়, তাঁকে ঘিরে থাকা কিছু অ-সরকারি রহস্য-চরিত্রের মতামত ও বক্তব্য ‘কান দিয়ে দেখে’ সরকার চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পরিবর্তনের সরকারে যাঁরা দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন (পড়ুন, নামে) তাঁদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর তুঘলকি আচরণের শেষ নেই। ক্ষমতায় বসেই এসএসকেএম হাসপাতালের ভিতরে থাকা বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজির হাল দেখতে গিয়ে সংস্থার অধিকর্তা শ্যামাপদ গড়াইকে শোকজ ছাড়াই সাসপেন্ড করে সরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। তাঁর খামখেয়ালিপনার শিকার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দা, আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন। গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে পচনন্দা পুলিশকে রাজনৈতিক রং না দেখে কাজ করতে বলেছিলেন। একই ভাবে, পার্কস্ট্রিট-ধর্ষণকে মুখ্যমন্ত্রী ‘সাজানো ঘটনা’ বলার পরেও কলকাতা পুলিশের তৎকালীন যুগ্ম-কমিশনার দময়ন্তী সেনের বক্তব্য ছিল একেবারে উল্টো। পরিণামে সরতে হয়েছিল দময়ন্তীকে।

আসলে নিজের হঠাৎ মনে হওয়া কথাটা স্থান-কাল-পাত্র বিচার না করেই বলে ফেলাটাই মুখ্যমন্ত্রীর দস্তুর। যেমন, প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব হৃদেশ মোহনের ঘটনা। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের এক জেলায় পর্যালোচনা বৈঠক করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিডিও স্তরের অফিসারেরাও রয়েছেন। বৈঠক চলাকালীন আইটিআই নিয়ে আলোচনার সময় আচমকা হৃদেশ মোহনের খোঁজ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সচিব তখন বিদেশে। জেনে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। অধস্তন অফিসারদের সামনেই তিনি কারিগরি শিক্ষাসচিবের পদ থেকে হৃদেশকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন! যদিও সেই নির্দেশ পরে কার্যকর হয়নি। তাঁর একই রকম উষ্মা প্রকাশ দেখা গিয়েছিল অন্য এক জেলার বৈঠকে, আইএএস অফিসার বরুণ রায়ের ক্ষেত্রেও।

সরকারি অফিসারদের অধিকাংশেরই অভিজ্ঞতা হল, এই মুখ্যমন্ত্রী আজ যা বলছেন, কালও সেই কথা বলবেন এমন নিশ্চয়তা নেই! তিনিই শুধু বলেন, শোনেন না। এমনকী সরকারি উদ্যোগে ডাকা প্রকাশ্য সভায় তিনি যে সব তথ্য হাজির করেন, (যেমনটা হয়েছিল মেদিনীপুরে) তাতে সরকারি ‘সিলমোহর’ দিতে জনতার সামনেই সচিবদের দিয়ে তার ‘সত্যতা’ কবুল করিয়ে নেন। বহু ক্ষেত্রে যা বাস্তবের সঙ্গে মেলে না। তার পর নিজেই আবার মাইকে বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক ব্যক্তি, মিথ্যা বলতে পারি। সচিব তো তা বলবেন না’। এমন অভিজ্ঞতা তাঁর আমলের প্রথম মুখ্যসচিব সমর ঘোষেরও হয়েছে। তাঁর রোষানলে পড়ে রাতারাতি গুরুত্বহীন পদে সরে যেতে হয় আর এক আমলা নন্দিনী চক্রবর্তীকে, যিনি সরকারের আসার সময় থেকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর নয়নের মণি!


সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন...

ক্ষমতায় আসা ইস্তক বাম আমলের বিপুল ঋণ নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন মমতা ও তাঁর সঙ্গীরা। টাকা নেই বলেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৫২% ডিএ বকেয়া পড়েছে বলে সরকারের দাবি। অথচ সেই মুখ্যমন্ত্রী চান বলেই সরকারি কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রতি বছর কয়েক হাজার ক্লাবকে নগদ অনুদান ও পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে বঙ্গভূষণ, বঙ্গবিভূষণ, খেলরত্ন, উত্তমকুমার পুরস্কার, টেলি সম্মান, চিকিৎসা রত্ন, বিডিও রত্ন, বিভিন্ন পুজো কমিটিকে পুরস্কার এবং আরও কত কী! কারও কারও বরাতে সম্মানের শিকে এত বার ছিঁড়েছে যে, সরকারের দেওয়া উপহারে সিন্দুক ভরে গিয়েছে! তাঁর তুঘলকি চালে শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষপদে স্থান পেয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, হেরিটেজ কমিশনে সিনেমার প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন (সমালোচনা হওয়ার পরে তিনি সরে দাঁড়ান)। আবার, তাঁর খামখেয়ালিপনার জেরেই বিষমদে আক্রান্ত পরিবার ক্ষতিপূরণও পেয়েছে!

তোষামুদেদের ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রেও ‘তুঘলকি’ নজিরবিহীন। সরকারি টেন্ডার কমিটির মাথায় যেখানে মন্ত্রী, বিধায়কেরাও বসতে পারেন না, সেখানে মমতা অবলীলায় বসিয়ে দেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের গায়ক ইন্দ্রনীল সেন ও শ্রীকান্ত মোহতাকে। যেমন, তিনি চান বলেই শহরের প্রায় সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের রং নীল-সাদা হয়ে যায়, দুপুর রোদে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে পড়া গাড়ির সওয়ারির কানে ভেসে আসে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর, ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’!

কলকাতাকে লন্ডন করবেন বলে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। তার জন্য কী করা হল? সরকারি কর্তাদের কথায়, রাস্তায় ভেপার আলো থাকা সত্ত্বেও কলকাতা ও জেলা শহরগুলিতে ত্রিফলা আলো বসানো হল সরকারি টাকায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর বরাত পেলেন শাসক দলের ঘনিষ্ঠরা। দুর্নীতির অভিযোগও উঠল। এ ব্যাপারে রাজ্যের এক পদস্থ আমলার মন্তব্য, “অর্থনীতিতে বলা হয়, কালো টাকা বাড়তে দিলে তা ধীরে ধীরে বাজারের সাদা টাকাকে গ্রাস করে ফেলে। রাজ্য প্রশাসনেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে। অদক্ষরা বাড়তি গুরুত্ব পাওয়ায় দক্ষ আমলারা ক্রমশ পিছু হটছেন। এ ভাবে বেশি দিন চললে দক্ষ অফিসারদের আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না!” শুধু আমলারা নয়, তাঁর মর্জির শিকার হতে হয়েছে রাজ্যবাসীকেও। যেমন, আলুর দাম। মমতা গোঁ ধরে থাকায় ১৬ টাকার জ্যোতি আলু ২২ টাকায় বিকোচ্ছে!

রাজ্যের এক প্রাক্তন আমলার (এই সরকারের আমলেই অবসর নেওয়া) মন্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই খুনে অভিযুক্ত লাভপুরের মনিরুল ইসলামের সঙ্গে একই মঞ্চে বসতে হয় মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ একাধিক সচিবকে! হাইকোর্ট একটি খুনের ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর সভা পরিচালনা করতে দেখা যায় ওই তৃণমূল নেতাকে। পুলিশের উঁচুতলা এবং নিচুতলায় এর ফলে কী বার্তা গিয়েছে, তা পরিষ্কার।”

এমন এক শাসককে অবশ্য মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ ইতিহাসবিদদের অনেকেই। মধ্যযুগীয় ইতিহাসের এক প্রবীণ শিক্ষিকার কথায়, “মহম্মদ বিন তুঘলককে খামখেয়ালি বলা হলেও তিনি মোটেই তা ছিলেন না। তুঘলকের কাজকর্ম বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, সে সবের পিছনে একটা পরিকল্পনা এবং যৌক্তিকতা থাকত। কিন্তু তা রূপায়ণের ক্ষেত্রে গোলমাল বাধত। তার কারণ তুঘলকের কাজকর্মে যৌক্তিকতা থাকলেও বাস্তববোধ ও ভিত্তির অভাব ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় যুক্তির জোর কতটা, সেটাই সংশয়ের বিষয়!”

সরকারি কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, কোনও ঘটনা ঘটলে শুরুতেই ‘শেষ কথা’ বলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর লোক দেখানো তদন্ত করে মুখ্যমন্ত্রীর মনের মতো রিপোর্ট দিতে হয়। তাঁদের কথায়, “এই মুখ্যমন্ত্রী চান বশ্যতা। কেউ সেটা না করলেই তাঁর ‘শত্রু’। যেমন পচনন্দা, দময়ন্তীর ক্ষেত্রে হয়েছে।” নবান্নের খবর, কেন্দ্রের মোদী সরকার ‘শত্রু’ হওয়ায় বর্ধমান-কাণ্ডে এনআইএ-কে তদন্তে অনুমতি দিতে প্রবল আপত্তি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। শেষ পর্যন্ত কেন তাদের আটকানো গেল না, সেই কারণে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মুখ্যসচিবের আপত্তিতে বঙ্গের তুঘলক এ যাত্রায় নিরস্ত হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement