মমতার সভায় এখন লোক টানা হয় ভয় দেখিয়ে, মন্তব্য শমীকের

দলীয় প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের সমর্থনে প্রচারে এসে রাজ্যের শাসক দলকে ‘হিংস্র’ এবং ‘অসহিষ্ণু’ বলে সমালোচনা করলেন বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার বিকেলে বাগদা বিধানসভা এলাকার আমডোব বাজারে সভা করেন শমীকবাবু। আবেদনের সুরে তিনি বলেন, “যদি হিংস্র, অসহিষ্ণু, সর্বগ্রাসী তৃণমূলকে হারিয়ে ভারতের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিতে চান, তা হলে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিন। আমাদের কাজ করার সুযোগ দিন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:২২
Share:

মঙ্গলবার আমডোব বাজারে সভায় শমীক ভট্টাচার্য।--নিজস্ব চিত্র।

দলীয় প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের সমর্থনে প্রচারে এসে রাজ্যের শাসক দলকে ‘হিংস্র’ এবং ‘অসহিষ্ণু’ বলে সমালোচনা করলেন বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে বাগদা বিধানসভা এলাকার আমডোব বাজারে সভা করেন শমীকবাবু। আবেদনের সুরে তিনি বলেন, “যদি হিংস্র, অসহিষ্ণু, সর্বগ্রাসী তৃণমূলকে হারিয়ে ভারতের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিতে চান, তা হলে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিন। আমাদের কাজ করার সুযোগ দিন।” তাঁর কথায়, “ওরা লোকসভায় হাড়ি ড্যান্স করছে। যদি মনে করেন ওই হাড়ি ড্যান্সে আরও এক জন সদস্য বাড়বে না, তা হলে বিজেপি প্রর্থীকে জয়ী করুন।” সংখ্যালঘুরাও যে বিজেপিকে সমর্থন করছে, তা বোঝাতে তিনি বলেন, “যে কেন্দ্র থেকে আমি ভোটে জিতেছি, সেখানে ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার।” তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, “আগে নিজেদের দল সামলান। আগে সরকার টিকিয়ে রাখুন। তার পরে নির্বাচনের প্রচারে নামবেন। বিজেপি পরিবর্তনের মধ্যেও রাজ্যে পরিবর্তন আনতে পারে। রাজ্যে যেখানে নির্বাচন হচ্ছে আর মানুষ ভোট দিতে পারছেন, সেখানে তৃণমূল হারছে।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা নিয়েও কৌশলে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি পোড়খাওয়া এই বিজেপি নেতা। বলেন, “আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও গেলে মানুষ জানতে পারলে ১০ কিলোমিটার আগে থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতেন, এক বার দেখার জন্য। এত প্রবল জনপ্রিয়তা নিয়ে এই রাজ্যে কোনও মহিলা রাজনীতিতে আসেননি। এখনও যে ওঁর সভায় লোক হচ্ছে না, তা নয়। তবে এখন যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” সারদা প্রশ্নে তৃণমূলকে বিঁধে শমীক বলেন, “সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত কাউকে বিজেপি নেবে না। কেউ দল ভেঙে নতুন দল করলেও বিজেপি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না।” তাঁর সংযোজন, “মুকুল রায় নীরব। ভিতরে কী বললেন, কেউ জানেন না। তৃণমূলে নতুন খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সাংবাদিকদের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে। ওরাই প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা ভরাট করে চলেছেন। এত বড় মিডিয়া-ফ্রেন্ডলি (সংবাদমাধ্যমের বন্ধু) সরকার আগে আসেনি।” মমতার সরকারকে নিশানা করে শমীক বলেন, “রাজ্যে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। পুলিশ বলছে সিপিএম কর। বিজেপি করা যাবে না।”

Advertisement

তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএম বা কংগ্রেসকেও ছেড়ে কথা বলেননি শমীক। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মালাবদল হয়েছিল। মাঝে ডিভোর্স হয়। এখন ফের মালা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কংগ্রেস সাইনবোর্ড পার্টিতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে মাত্র দু’টি মহকুমায় ওদের অস্তিত্ব আছে।” বামেদের সমালোচনায় তাঁর মন্তব্য, “ওরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement