বনকর্মী নিয়োগে মমতার ছাড়পত্র

বন দফতরে কর্মী নিয়োগের প্রশ্নে শেষ পর্যন্ত ছাড়পত্র মিলল। বুধবার বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং তাঁর দফতরের সচিব ও শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বন সংরক্ষণের প্রশ্নে আর আপস নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৪ ০২:৫৮
Share:

বন দফতরে কর্মী নিয়োগের প্রশ্নে শেষ পর্যন্ত ছাড়পত্র মিলল।

Advertisement

বুধবার বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং তাঁর দফতরের সচিব ও শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বন সংরক্ষণের প্রশ্নে আর আপস নয়। বিভিন্ন বনাঞ্চলে অন্তত ২৫০ জন বিট অফিসার এবং একশো জন রেঞ্জ অফিসার নিয়োগের অনুমোদন তারই প্রথম ধাপ বলে মনে করছেন বনকর্তারা। ২০০৯ সালের পরে বন দফতরে নিয়োগ কার্যত থমকে গিয়েছিল। তার ওপর গত দু’বছর ধরে ট্রেজারি বিধি চালু হওয়ায় বরাদ্দ অর্থ খরচের ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। বন দফতরে প্রায় ৩৩০০ শূন্য পদ রয়েছে। এ অবস্থায় বন সংরক্ষণে মূল ভরসা ছিলেন অস্থায়ী কর্মীরা। কিন্তু এলওসি এবং ট্রেজারি বিধির গেরোয় তাঁদের ভাতাও সময়ে দেওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। বনকর্মী নিয়োগে ছাড়পত্র মেলায় সে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেই সঙ্গে, পরিবেশ এবং পর্যটনের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে বনাঞ্চলের উন্নয়নে জোর দেওয়ার জন্য ‘ইকো ট্যুরিজম বোর্ড’ গড়ার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন শুধু বন সংরক্ষণ নয়, পর্যটন প্রসারে বন-লাগোয়া এলাকায় আবাস গড়তে গেলেও এ বার থেকে ওই বোর্ডের অনুমোদন আবশ্যক হবে। ফলে সুন্দরবন এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হোটেল-রিসর্টের দখলদারির উপরেও কোপ পড়বে বলে পরিবেশবিদরা মনে করছেন। দেশের অন্যত্র চালু হলেও রাজ্যে এই ধরনের কোনও বোর্ডের অস্তিত্ব ছিল না। মুখ্য সচিবকে ওই বোর্ড গড়ার দায়িত্ব দিয়ে এ ব্যাপারে একটি প্রাথমিক কমিটি তৈরি করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও সদ্য পর্যটন দফতরের দায়িত্ব পাওয়া ব্রাত্য বসু। বন উন্নয়নের প্রশ্নে তাঁর ওই দফতরেরও যে যথেষ্ট দায়িত্ব রয়েছে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা। দুই দফতরের সমন্বয় গড়তে অনলাইনে বন উন্নয়ন নিগমের বাংলো-বুকিং পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট থেকেও করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, চালসা, জয়ন্তী কিংবা ভুটানঘাটে নতুন পর্যটন আবাস তৈরির পাশাপাশি বনবস্তি এলাকায় ‘হোম-স্টে’ তৈরির কথাও।

বন সুরক্ষায় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্ব মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, এখন থেকে পুলিশের ‘ক্রাইম-কনফারেন্স’-এ যেন বনকর্তারা হাজির থাকেন।

কেন? তাঁর ব্যাখ্যা, চোরাশিকার থেকে বেআইনি গাছ-কাটা কিংবা করাত কলের রমরমা রুখতে বন ও পুলিশের বোঝাপড়া থাকা জরুরি। এ ব্যাপারে বৈঠকে উপস্থিত রাজ্য পুলিশের ডিজি জিএমপি রেড্ডিকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সিআইডি’র ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন সেল’কে আরও সক্রিয় করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement