বঙ্গবিভূষণ ও বঙ্গভূষণ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ও মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে সুমন বল্লভের তোলা ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এই প্রথম কোনও অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি। মঙ্গলবার সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, বাংলাই সারা ভারতকে পথ দেখাবে। একই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনের পর বাংলা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠান ছিল সরকারি। উপলক্ষ, বঙ্গবিভূষণ ও বঙ্গভূষণ পুরস্কার প্রদান।
সংস্কৃৃতি, খেলা, চিকিৎসা, আইনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩৩ জন বিশিষ্টকে রাজ্য সরকারের তরফে ওই পুরস্কার দেওয়ার আয়োজন হয়েছিল সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে। প্রাপকদের তালিকায় সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে তৃণমূলের দুই পরাজিত প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন এবং ভাইচুং ভুটিয়াও ছিলেন। প্রারম্ভিক বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বপ্নের দিশারি হিসেবে বাংলাকে তুলে ধরতে হবে। বাংলার পথ সারা ভারতের পথ। আসুন সেই পথকে সম্মান জানিয়ে চলা শুরু করি।”
তিন বছর আগে আজকের দিনটিতেই তৃণমূল সরকার শপথ নিয়েছিল। সেটা মাথায় রেখেই তিন বছর ধরে একই দিনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মমতার কথায়, “দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পায়ে-পায়ে তিন বছর পার করে এলাম। মা-মাটি-মানুষের সরকার তিন বছর আগে এই দিনই শপথ নিয়েছিল। দিনটি আমরা উৎসর্গ করি আমাদের সমাজকে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের সম্মান জানিয়ে।” প্রতিটি পুরস্কার প্রাপকের নাম উল্লেখ করে তাঁর মন্তব্য, “এই মঞ্চটাকে মনে রাখবেন। খুব সন্মানীয় মঞ্চ। বিশ্ববাংলার কাছে বঙ্গসংস্কৃতি, মেধা, মননকে তুলে ধরার কাজ এই মঞ্চ থেকে চালিয়ে যাব।”
পুরস্কারপ্রাপকদের ‘দামী জহরত’ বলে উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেন, “তিন বারই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলাম। দেশ, এমনকী বিশ্বের মঞ্চে, এই ধরনের অনুষ্ঠান বাংলার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।”