বিধানসভায় ফের ছাঁটাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর

বিধানসভায় আবার বাতিল হল মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রশ্নোত্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে-থাকা দফতরগুলির জন্য প্রশ্ন ও উত্তরের নির্ধারিত দিন শুক্রবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৪ ০৩:৩৩
Share:

বিধানসভায় আবার বাতিল হল মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রশ্নোত্তর।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে-থাকা দফতরগুলির জন্য প্রশ্ন ও উত্তরের নির্ধারিত দিন শুক্রবার। কিন্তু তিন বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বে এক দিনও তিনি তাঁর দফতরের প্রশ্নের জবাব দেননি। এক বারই স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়ে বিরোধীদের হইচইয়ে মুখ্যমন্ত্রী উঠে দাঁড়িয়ে বাকি জবাব দিয়েছিলেন। এ বার দফাওয়াড়ি বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের আশা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। কারণ, তিন বছরের মধ্যে আজই প্রথম স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট-বিতর্কে থাকার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতার। তবে আজকের প্রথমার্ধের জন্য যে সব প্রশ্নের তালিকা বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কোনও প্রশ্ন নেই। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের বদলে আজ জনস্বাস্থ্য কারিগরি, খাদ্য সরবরাহ, পঞ্চায়েত, পরিবহণ দফতরের প্রশ্ন থাকছে। দ্বিতীয়ার্ধে বাজেটের সময় অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা। স্বভাবতই এই ঘটনায় বিরোধীরা ফের অভিযোগ করেছে, নিজের দফতরের প্রশ্ন এড়িয়েই যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিধানসভায় আজ অধিবেশনের বিরতির সময় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রীর বাজেটে অংশ নেওয়ার কথা। দ্বিতীয়ার্ধের কাজ কখন শুরু হবে, সে ব্যাপারে এ দিন ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবরও নিয়েছেন বলে বিধানসভা সূত্রের খবর। প্রশ্নোত্তরকে এ ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর এড়িয়ে যাওয়াকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া এ দিন বলেন, “তিন বছর পরে তাঁর দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আংশিক পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে এই প্রথম পুলিশ বাজেটের উপরে মুখ্যমন্ত্রী বলবেন। খুশির খবর! কিন্তু সভায় জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের জবাব দিতে তাঁর এত কুণ্ঠা কেন? এটা কি সংসদীয় গণতন্ত্রকে তাঁর শ্রদ্ধা জানানোর পথ?” পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টেপাধ্যায় বা সরকারি মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এর আগে এক দিন আচমকাই বিধানসভায় হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিধানসভায় বসে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার থেকে জেলায় জেলায় ঘুরে কাজের উপরেই তিনি গুরুত্ব দিতে চান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement