বিপর্যস্ত শাসক দলে বিদ্রোহের ঢেউকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিলেন সুলতান সিংহ। বালির বিধায়ক।
দলে গোষ্ঠীতন্ত্রের অভিযোগ এনে সুলতান সরব হয়েছেন হাওড়া জেলা সভাপতি (শহর) তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বালিতে তৃণমূলের ডাকা সমাবেশে গরহাজির ছিলেন সুলতান। কেন এলেন না? প্রশ্ন করা হলে এই বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার বলেন: “কেন যাব? অরূপ রায়ের প্রবলেম হল, উনি ফালতু লোকেদের নিয়ে দল করে জট পাকাচ্ছেন!”
এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্যে তৃণমূলে অস্বস্তি বেড়েছে। কারণ, দুর্নীতি থেকে শুরু করে দল পরিচালনা, বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলা নেতানেত্রীদের পাল্লা ক্রমশ ভারী হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম লেখালেন সুলতানও।
২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি বালি পুরসভা ঘেরাও অভিযানে গিয়ে সিপিএমের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সেই ঘটনার স্মরণে বালিখাল এলাকায় সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল। আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও সেখানে যাননি সুলতান।
সুলতানের মন্তব্য শুনে দলের প্রথম সারির এক নেতার কথায়, “এক জন বিধায়কের এই কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে দলের ভিতর কী ধরনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে।” যদিও অরূপবাবু এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, সুলতান যে সমাবেশে যাবেন না, সে কথা এ দিন সকালে সমাবেশের আয়োজক তথা ব্লক সভাপতি তপজিল আহমেদকে এসএমএস করে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন। পরে সুলতান সংবাদমাধ্যমে বলেন, “যত দিন না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটছে, সবাই এক হচ্ছে, তত দিন কোনও মিটিংয়ে যাব না।” বিধায়কের আরও অভিযোগ, বালির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের অনেককেই সমাবেশে ডাকা হয়নি। “পোস্টারেও কোথাও আমার নাম ছিল না,” বলেছেন তিনি।
অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে রাতে অরূপবাবু বলেন, “উনি কেন এ কথা বলেছেন জানি না। যারা নিয়মিত রাজনীতি করেন, তাঁদের অবশ্যই ডাকা হয়েছে। এই সমাবেশের জন্য কোনও পোস্টার লাগানো হয়নি।”
ভ্রম সংশোধন
আনন্দবাজার ওয়েবসাইটে এই সংবাদে বালির বিধায়ক সুলতান সিংহের পরিবর্তে অনবধানবশত কিছু সময়ের জন্য উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদের ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।