মুকুল রায়ের সঙ্গে দলের বিচ্ছেদ। তাই দিল্লিতে এ বার নতুন ঠিকানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগামী ৮ তারিখ রাতেই দিল্লি আসছেন মমতা। সে জন্য মুকুলের ১৮১ সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়ির লাগোয়া ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নির্ধারিত ১৮৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি সাজছে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য।
২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বঙ্গভবনে বা সার্কুলার রোডে রাজ্য সরকারের অতিথিনিবাসে ওঠেননি তিনি। বরং সেই সময়ের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের ১৮১ সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িটিই ছিল মমতার স্থায়ী দিল্লি-ঠিকানা। সাড়ে তিন বছরে দলের বৈঠক, আমলাদের সঙ্গে আলোচনা, সাংবাদিক সম্মেলনসমস্তই হয়েছে এ বাড়ির প্রশস্ত লনে। তবে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ পালাবদলের পর মমতা এখান থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তাঁর যাবতীয় আসবাব। এ বার থেকে অভিষেকের বাড়িতেই থাকবেন তিনি। ১৮৩-র উপরেই (১৮৪) থাকেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদ্যনিযুক্ত নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। দু’টি বাড়িতেই নতুন করে সাজানো হচ্ছে দলীয় অফিস।
প্রধানমন্ত্রী মরিশাস সফরে যাচ্ছেন ১০ তারিখ। তার আগে ৯ তারিখ মমতার সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর নিয়েও জানতে চাইবেন মোদী। আলোচনা হবে তিস্তা চুক্তি এবং ছিটমহল হস্তান্তর নিয়েও। পাশাপাশি, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেও দেখা করবেন মমতা। রাজ্যের উপর কেন্দ্রীয় ঋণের বোঝা হাল্কা করতে বাজেটে কোনও সাহায্য নেই বলেই মনে করছে তৃণমূল। রাজ্যের বেহাল আর্থিক অবস্থা নিয়ে মমতা কথা বলবেন জেটলির সঙ্গে।
আপাতত, নেত্রীর দিল্লি আসা পর্যন্ত কালো টাকা উদ্ধার থেকে শুরু করে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে হইচই করবেন তৃণমূল সাংসদরা। কালো টাকা ফিরিয়ে আনার দাবিতে আগামী কাল সংসদের গেটে ধর্না দেবেন তাঁরা। মমতা তাঁর সফরসূচিতে একটি দিন রেখেছেন সংসদে আসার জন্য। সংসদ ভবনে নিজের সাংসদদের পাশাপাশি বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।