ট্রেকিংয়ে গিয়ে তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হন তাঁরা। শুক্রবার নেপালের একটি সরকারি সূত্রে খবর, থোরাং পাস থেকে তাঁদের এক জন, দমদমের বাসিন্দা অরূপ রায়চৌধুরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে হুগলির ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, তথাগত জানা এবং হাওড়ার সুনীল সেনের খোঁজ আজও মেলেনি। চরম উৎকণ্ঠায় তাঁদের পরিবার। উদ্ধারকাজ তদারকির জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দফতরে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
নেপাল প্রশাসন জানিয়েছে, আবহাওয়া ভাল হতেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনও লজ ও কুঁড়েঘরে আশ্রয় নেওয়া অভিযাত্রীদের উদ্ধার করা বাকি। এ পর্যন্ত ১৬১ জন উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ একশোরও বেশি। রয়েছে ৪০ জনের একটি অস্ট্রেলীয় অভিযাত্রী দল। রয়েছেন ইন্দ্রজিৎ, তথাগত ও সুনীলও।
মঙ্গলবার নেপালের মানাং জেলার ফু গ্রাম থেকে শিয়াং গ্রামে আসার পথে তুষার ঝড়ের মুখে পড়েছিলেন তাঁরা। তার পর থেকেই নিখোঁজ চার জন। অরূপের দেহ মিললেও বাকিদের খবর নেই। কিন্তু সে কথা এখনও জানেন না তথাগতর অশীতিপর মা। বৈদ্যবাটির চতুষ্পাঠী লেনের বাসিন্দা তথাগতর ফটোগ্রাফির ব্যবসা ছাড়াও কাগজের এজেন্সি আছে। রয়েছেন স্ত্রী ও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মেয়ে। আত্মীয়েরা জানাচ্ছেন, কিছু দিন আগেই তথাগত লাদাখে গিয়েছিলেন। ফেরেন মহালয়ার আগে। লক্ষ্মীপুজোর পরদিনই নেপালের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। তথাগতর দাদা সিদ্ধার্থ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে আছি।”
শেওড়াফুলি হাটের সব্জির আড়তদার ইন্দ্রজিতের দাদা সৌমেন ঘোষের আক্ষেপ, ভাইয়ের শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে নেপাল যেতে বারণ করেছিল বাড়ির লোকেরা। ইন্দ্রজিৎ অবশ্য সে বারণ না শুনেই নেপালের উদ্দেশে রওনা দেন। তার পরই এল তুষারঝড়ের খবর। ছেলের নিখোঁজ হওয়ার কথা অবশ্য ইন্দ্রজিতের বাবা এখনও জানেন না। শুক্রবার হাওড়ার ডোমজুড়ের সুনীল সেনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পান বাড়ির লোকেরা।
বিমানের আক্ষেপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
দলের কর্মীদের রাজনৈতিক শিক্ষা ঠিকমতো হচ্ছে না বলে আক্ষেপ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। তাঁর আরও আক্ষেপ, “পার্টির পক্ষ থেকে যে সব পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হয়, কত জন তা পড়েন!” ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির ৯৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার কলকাতা জেলা সিপিএম আয়োজিত সভায় এই কথা বলেছেন বিমানবাবু। প্রথম যুক্তফ্রন্টের সময়ে দলের কর্মীদের যে নিষ্ঠা ও ত্যাগ ছিল, বামফ্রন্টের আমলে ক্রমেই তা কমেছিল, এই সত্য ফের স্বীকার করে বিমানবাবু বলেন, “দলের কর্মীদের মতাদর্শে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক শিক্ষারও ঘাটতি রয়েছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের গণ-বিপ্লবী পার্টি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু না হল গণ-পার্টি, না হল গণ-বিপ্লবী পার্টি!”