দুই টেট নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য তলব সুপ্রিম কোর্টে

যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কেন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে লিখিত ভাবে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি এস এস নিজ্জর ও বিচারপতি এ কে সিক্রির বেঞ্চ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৬
Share:

যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কেন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে লিখিত ভাবে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি এস এস নিজ্জর ও বিচারপতি এ কে সিক্রির বেঞ্চ।

Advertisement

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যে-সব প্রার্থী প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুলশিক্ষকের চাকরি পাননি, তাঁদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আনএমপ্লয়েড ট্রেনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন গড়ে মাধ্যমিক স্তরে চাকরি না-পাওয়া প্রার্থীরা মামলা করেন স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র বিরুদ্ধে। পায়েল বাগ এবং অন্যদের তরফে পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। দু’টি মামলার বক্তব্যই মোটামুটি এক।

আবেদনকারীদের অভিযোগ, যথেষ্ট সংখক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাঁদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে না। আবার প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের কাছে বিশেষ ছাড় চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত বুধবার ওই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠার পরে বিচারপতিরা জানতে চান, রাজ্য প্রশিক্ষণহীনদের চাকরি দিতে কেন্দ্রের কাছে ছাড় চেয়েছিল কেন? পরে তাঁরা জানান, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই ব্যাপারে রাজ্যের বক্তব্য পেশ করতে হবে।

Advertisement

৩০ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও সুপ্রিম কোর্ট এ দিন জানিয়ে দিয়েছে। তার আগে রাজ্যকে লিখিত ভাবে আদালতে জানাতে হবে, কেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাননি এবং কেনই বা রাজ্য সরকার প্রশিক্ষণহীনদের চাকরি দিতে সময় বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement