সিবিআই অফিস থেকে আলিপুর আদালতের পথে মাতঙ্গ সিংহ।—নিজস্ব চিত্র।
সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে তিনি জেলে। অথচ জেড প্লাস নিরাপত্তা বহাল থাকছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাতঙ্গ সিংহের। সরকারি সূত্রের খবর, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য সহ মোট ১৪টি রাজ্যে তাঁর জন্য জেড প্লাস নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত একই রকম থাকছে। জেড প্লাস নিরাপত্তার অর্থ হল, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তায় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সহ ২৪ থেকে ৩৬ জন নিরাপত্তা রক্ষী মজুত থাকবেন। জেড ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১৬ থেকে ২০ জন।
তবে কলকাতায় সিবিআই আজ আদালতে অভিযোগ করেছে, অসমে সারদা গোষ্ঠীর সাম্রাজ্য বাড়াতে মাতঙ্গ সিংহ সক্রিয় সাহায্য করেছিলেন। শনিবার মাতঙ্গকে নিজেদের হেফাজত থেকে আদালতে হাজির করিয়ে সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, অসমে ব্যবসা বাড়াতে সুদীপ্ত সেনকে সাহায্য করার জন্য ওই অভিযুক্ত তিনটি টেলিভিশন চ্যানেল ও চারটি বেসরকারি রেডিও স্টেশন ৬৩ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেন। মাতঙ্গের উদ্দেশ্য ছিল, সুদীপ্ত তাঁর অংশীদারিতে থাকা মিডিয়া সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে অসমে ব্যবসা বাড়াক। এ দিন মাতঙ্গকে ৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মাতঙ্গের নিরাপত্তায় এমন সিদ্ধান্ত হলেও লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারের নিরাপত্তা পুরোপুরি ভাবে তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সংবাদ সংস্থার খবর, একই হাল ইউপিএ জমানার কয়েক জন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ক্ষেত্রেও। মণীশ তিওয়ারি, শ্রীপ্রকাশ জয়সবালের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কংগ্রেস নেত্রী রীতা বহুগুণা জোশীদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে।
মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ এত দিন এনএসজি নিরাপত্তা পেতেন। এখন থেকে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ। আর জে ডি নেতা লালু প্রসাদের এনএসজি নিরাপত্তাও তুলে নিয়ে দিল্লি ও বিহারে তাঁকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এল সি গয়ালের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রমন সিংহ ও লালুর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়নি।
শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর জন্য দেওয়া হচ্ছে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা। বাবা রামদেব ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পাবেন। রাহুল সিংহ পাবেন ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তা। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর জন্য জেড প্লাস নিরাপত্তাই বহাল থাকছে।