জেলে জ্যামার এ বছরই

প্রেসিডেন্সি, আলিপুর এবং দমদম কলকাতার এই তিনটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জ্যামার বসানোর যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, চলতি বছরের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হবে। মঙ্গলবার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘সংশোধনাগার সংস্কার’ শিরোনামে এক আলোচনাচক্রে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৪ ০৩:৩৮
Share:

প্রেসিডেন্সি, আলিপুর এবং দমদম কলকাতার এই তিনটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জ্যামার বসানোর যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, চলতি বছরের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হবে। মঙ্গলবার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘সংশোধনাগার সংস্কার’ শিরোনামে এক আলোচনাচক্রে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি।

Advertisement

জেলে বসে মোবাইলের মাধ্যমে তোলাবাজি এবং অপহরণের মতো সংগঠিত অপরাধ ঘটেই চেলেছে। এমনকী, জেলের গেটে ব্যাপক কড়াকড়ি সত্ত্বেও বন্দিদের হাতে মোবাইল পৌঁছনো রোখা যাচ্ছে না। এর পিছনে যে কারাকর্মীদের একাংশই যুক্ত, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, “মূলত কোর্ট লক-আপে যখন বন্দিরা যাচ্ছেন, তখন মোবাইল এবং অন্য নিষিদ্ধ জিনিসপত্র হাতে পাচ্ছেন। জেলে ঢোকার মুখে তাঁদের তল্লাশি করে ঢুকতে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও গাফিলতি থাকছে। ফলে জেলেও মোবাইল ঢুকে পড়ছে। সে জন্যই আমরা প্রাথমিক ভাবে কলকাতার তিনটি জেলে জ্যামার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” মন্ত্রী জানান, কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই প্রেসিডেন্সি, আলিপুর এবং দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জ্যামার বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী কারা দফতর।

কারা দফতর সূত্রের খবর, যে কোনও রাজ্যে জ্যামার বসাতে হলে কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিবালয়ের কাছে অনুমতি নিতে হয়। গত জানুয়ারি মাসে ক্যাবিনেট সচিবালয়ের কাছে জ্যামার বসানোর জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দিল্লির অনুমতি মিললেই কাজ শুরু হবে। খরচ হবে প্রায় ৪০ কোটি। তবে বছর দশেক আগে কলকাতায় জ্যামার বসাতে গিয়ে যে বিপত্তি হয়েছিল, এ বার তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই দাবি করেছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (কারা) অধীর শর্মা। কারা দফতর সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে জেলে জ্যামার বসানোর জেরে জেল-সহ আশপাশের বসতি এলাকাতেও মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকী, আলিপুরে জেলাশাসকের বাসভবনেও মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যেত না। অনেক ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খারাপ হয়ে যায় জ্যামার। শেষে, এক প্রকার বাধ্য হয়েই জ্যামার তুলে নেয় কারা দফতর। এ বার যাতে ওই সমস্যা না হয়, সে জন্য ইতিমধ্যেই দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পরীক্ষামূলক ভাবে জ্যামার বসিয়ে দেখে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement