চাপের মুখে পর্যবেক্ষক দ্বিগুণ, আধাসেনাও বাড়ছে শেষ পর্বে

লাগাতার অভিযোগ ও চাপের পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ দফায় বাড়তি কিছু বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। পঞ্চম ও শেষ দফায় সেটা আরও বাড়ছে। আধাসেনা ও পর্যবেক্ষক দু’দিক থেকেই। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, শেষ দফায় বাংলার ১৭টি আসনের জন্য ৫০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ ছিলই। ঝুঁকি না-নিয়ে আরও ৫০ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী আনার চেষ্টা চলছে। আজ, শনিবারের মধ্যেই সেই বাড়তি বাহিনী রাজ্যে চলে আসার কথা। আধাসেনার মতো পর্যবেক্ষকের সংখ্যাও বাড়ছে। এবং সেটা দ্বিগুণ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৪ ০৪:০৩
Share:

লাগাতার অভিযোগ ও চাপের পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ দফায় বাড়তি কিছু বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। পঞ্চম ও শেষ দফায় সেটা আরও বাড়ছে। আধাসেনা ও পর্যবেক্ষক দু’দিক থেকেই।

Advertisement

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, শেষ দফায় বাংলার ১৭টি আসনের জন্য ৫০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ ছিলই। ঝুঁকি না-নিয়ে আরও ৫০ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী আনার চেষ্টা চলছে। আজ, শনিবারের মধ্যেই সেই বাড়তি বাহিনী রাজ্যে চলে আসার কথা। আধাসেনার মতো পর্যবেক্ষকের সংখ্যাও বাড়ছে। এবং সেটা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ১৭টি কেন্দ্রের জন্য এক জন করে পর্যবেক্ষক থাকার কথা। থাকছেন ৩৪ জন। পঞ্চম ও শেষ দফার ভোট সোমবার। তার তিন দিন আগে, শুক্রবার থেকেই কলকাতার রাস্তায় টহল শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

এ বারের প্রথম তিন দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রায় চোখে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধী শিবির। এর সুযোগ নিয়ে রিগিং, এজেন্টদের বার করে দেওয়া, ভোটারদের ভয় দেখানোর মতো বহু ঘটনা ঘটেছে বলে কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। যদিও রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশ বিরোধীদের কোনও অভিযোগকেই আমল দিতে চাননি।

Advertisement

তবে তৃতীয় দফা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং বিরোধীদের লাগাতার চাপের মুখে চতুর্থ দফায় সুষ্ঠু ভাবে ভোট করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করে কমিশন। ফলও মেলে হাতেনাতে। বিরোধী পক্ষ মেনে নেয়, আগের তিন দফার চেয়ে চতুর্থ দফায় ভোট হয়েছে তুলনায় অনেকটাই ভাল পরিবেশে।

কমিশনের এক মুখপাত্র জানান, পঞ্চম ও শেষ দফার ভোটে কোনও দলকেই অভিযোগ তোলার সুযোগ দিয়ে চায় না কমিশন। তাই আধাসেনা ও পর্যবেক্ষক বাড়ানো হয়েছে লক্ষণীয় সংখ্যায়। বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলও শুরু হয়ে গিয়েছে। যে-সব কেন্দ্রে বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে, সেখানে তাদের কখন কোথায় ‘ফ্ল্যাগ মার্চ’ করানো হচ্ছে দিল্লির কাছে দিনে দু’বার রিপোর্ট পাঠিয়ে তা জানাতে বলা হয়েছে। এ দিনই অধিকাংশ কেন্দ্রে বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি কমিশনের।

শেষ দফায় বুথের সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই স্পর্শকাতর। তাই যে-কোনও অশান্তি এড়াতে রাজ্য পুলিশ, পর্যবেক্ষক-সহ কমিশনের যাবতীয় নজরদারি ব্যবস্থার বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আরও বেশি করে ব্যবহার করতে চাইছে কমিশন। প্রতিটি স্পর্শকাতর বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এ দিন মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) সুনীল গুপ্তের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানান বিজেপি-র জাতীয় মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর ও কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট বলছে, প্রথম তিনটি দফার ভোটে পরিকল্পনা করে আধাসেনা মোতায়েন করা হয়নি। অভিযোগ উঠেছিল, অনেক জেলাতেই শান্তিপূর্ণ হিসেবে পরিচিত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল বেশি। অথচ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও যেখানে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালিয়ে ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছিল, সেখানে বাহিনীর উপস্থিতি ছিল অনেক কম। ফলে খাতায়-কলমে গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এ বছর বাহিনীর সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও অবাধ ভোটের ছবি প্রথম দিকে অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল। তাই শেষের দিকে কমিশন অনেকটাই কড়া হাতে মাঠে নেমেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement