দিল্লির কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সমালোচনার মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিবৃতিই হাতিয়ার করছে প্রদেশ কংগ্রেস। বাম আমলের ঋণের সুদ মুকুবের দাবিতে সরব মমতা সর্বত্র দিল্লির সরকার ও কংগ্রেসের সমালোচনা করছেন। এই সুদ মুকুব করা কেন সম্ভব নয় তা সংবাদমাধ্যমের কাছে ফের জানিয়েছেন চিদম্বরম। তাঁর সেই বক্তব্য নিয়ে লিফলেট ও পুস্তিকা প্রকাশ করে তা ভোটারদের মধ্যে বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
বুধবার দলের সদর দফতর বিধান ভবনে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য, পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া সহ বেশ কয়েকজন দলের প্রার্থীও ছিলেন। বৈঠকে তৃণমূল, বিজেপি এবং বামেদের সমালোচনার জবাব কী ভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার পাশাপশি কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের সাফল্যও প্রচারে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
তৃণমূল সরকার পরিকল্পনা করতে না পারায় কেন্দ্র থেকে টাকা আনতে পারেনি বলে তাঁরা প্রচার করবেন বলে বৈঠকের পরে প্রদীপবাবু, মানসবাবু জানান। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি তুলে প্রদীপবাবু বলেন, “কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-২ সরকার সঠিক আর্থিক নীতি নিয়ে চলেছে বলেই দেশে অর্থনৈতিক সুস্থিতি বজায় রয়েছে। আর তৃণমূল নেত্রী যে সুদ মুকুবের কথা বলছেন তা কার্যকর করা সম্ভব নয়।” চিদম্বরম ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সংবিধানিক ভাবে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যাতে কোনও রাজ্যের ঋণের ওপর সুদ মুকুব করা যাবে। এটা করলে পশ্চিমবঙ্গের মতো সব চেয়ে ঋণগ্রস্ত রাজ্য পঞ্জাব ও কেরলও একই দাবি তুলবে।
কংগ্রেসের এই প্রচার পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “কেন্দ্র যে রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না তা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। রাজস্বের আদায় বাড়লেও তার সিংহ ভাগই কেন্দ্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। সেই টাকা পেলে রাজ্যে আরও উন্নয়নের কাজ করা যেত।”