বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে এ বার কলকাতায় মুখোমুখি শাসক তৃণমূল এবং প্রধান বিরোধী বামেরা। আগামী ৬ ডিসেম্বর শহরে পিঠোপিঠি কর্মসূচি নিয়েছে তারা। বামফ্রন্ট অবশ্য ওই কর্মসূচিতে সঙ্গে রাখছে ফ্রন্টের বাইরের বাম দলগুলিকেও।
আলিমুদ্দিনে ১৬টি বাম দলের বৈঠকের পরে রবিবার বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর মহাজাতি সদন থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতায়। মিছিল শেষে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে জমায়েতও থাকবে। ওই দিনটিকেই এ বার ‘সংহতি দিবস’ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুব তৃণমূলও। শহিদ মিনার ময়দানে সে দিন যুব তৃণমূলের সমাবেশে ‘যুবরাজ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি থাকতে পারেন তাঁর পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যার জেরে ৬ ডিসেম্বর কার্যত রাজধানীর রাজপথে টক্কর হবে বাম-তৃণমূলের! দু’দিন আগেই বাগবাজারের যাত্রামঞ্চে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী কনভেনশন করেছিল ১৬টি বাম দল। সেখানেই ঠিক হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর তারা কিছু কর্মসূচি নেবে। আলিমুদ্দিনে এ দিনের বৈঠকে সেই কর্মসূচিই চূড়ান্ত হয়েছে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও বাম সমর্থকেরা সে দিনের মিছিলে যোগ দেবেন। তার জন্য ফের একটি প্রস্তুতি বৈঠক ২ ডিসেম্বর। কাজের সুবিধার জন্য ১৬টি বাম দলের মধ্যে একটি সমন্বয় কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই বৃহত্তর বাম ঐক্যের মাঝেই অবশ্য এ দিন একটি কাঁটার প্রসঙ্গ তুলেছিল এসইউসি। নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় কিছু ছোট বাম দল এবং বিদ্বজ্জনেদের ভূমিকা নিয়ে আগের দিনের কনভেনশনে কিছু মন্তব্য করেছিলেন আরসিপিআই নেতা মিহির বাইন। এসইউসি এ দিনের বৈঠকে বলে, বাম শরিক দলের নেতারাই এমন বললে তারা যে শর্তসাপেক্ষে এই ঐক্যে এসেছে, তা রক্ষা করা মুশকিল হবে। মিহিরবাবু অবশ্য এ দিনের বৈঠকে ছিলেন না। তবে বিমানবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে তিনি সচেষ্ট হবেন। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বরই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল কলকাতায়। কিন্তু তা পিছিয়ে করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব অস্ত্রোপচারের পরে এখন কেরলে। তাঁর আপাতত প্রকাশ্যে কোনও সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন নেই বলেই চিকিৎসকদের মত।