এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সামনের দৃশ্য। —ফাইল চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারকে রবিবার প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। ওই হাউস স্টাফ এসএসকেএমের হস্টেলেই থাকতেন। রবিবার হস্টেলের ঘর থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এসএসকেএমের সিসিইউতে বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই জুনিয়র ডাক্তারের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নন তিনি। বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। কী কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটেছে কি না, বা কোনও ওষুধের মাত্রা বেশি হয়ে গিয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকেরা।
ওই জুনিয়র ডাক্তার এসএসকেএমের স্নায়ুরোগ বিভাগের হাউস স্টাফ ছিলেন। রবিবার প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করার পর বেশ অবাক হয়েছেন অন্য জুনিয়র ডাক্তারেরাও। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার কোনও কারণ বুঝতে পারছেন না তাঁর পরিচিত জুনিয়র ডাক্তারেরাও।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের শামিল ছিলেন তিনি। সামনের সারিতে না থাকলেও এসএসকেএম হাসপাতালের পরিসরে যখনই যা প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে, তাতে সক্রিয় থেকেছেন ওই অসুস্থ জুনিয়র ডাক্তার। তাঁর অসুস্থতার খবর জানতে পেরে তাই পরিচিতেরা অনেকে অবাকই হয়েছেন। আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। সিসিইউতে রেখে তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই ঝাড়গ্রামের একটি লজ থেকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের এক জুনিয়র ডাক্তারের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। দীপ্র ভট্টাচার্য নামে বছর বত্রিশের ওই জুনিয়র ডাক্তার ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। ঝাড়গ্রামে একটি লজ ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর রহস্যমৃত্যুর পরে ঘরের ভিতর থেকে সিরিঞ্জ পাওয়া গিয়েছিল।