আলিমুদ্দিনে দলের ফেসবুক-টুইটার অ্যাকাউন্ট উদ্বোধনে বিমান বসু। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।
যুগের সঙ্গে তাল রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করল সিপিএম। আলিমুদ্দিনে মঙ্গলবার দলের রাজ্য কমিটির তরফে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও টুইটার হ্যান্ডলের সূচনা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। দেরিতে শুরু করলেও বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে আলিমুদ্দিনে একটি আলাদা ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কাজ দেখভাল করার জন্য। নেওয়া হয়েছে ওয়াই ফাই সংযোগও। যা ইতিমধ্যেই চালু আছে তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে দলের অ্যাকাউন্টের উদ্বোধন করে বিমানবাবু বলেন, “মিথ্যার বেসাতি চলছে চার দিকে! রাজনৈতিক কার্যক্রমের মধ্যে মিথ্যা-সত্য যাচাই করে নিতে হবে। নতুন প্রজন্মের হাতে সময় কম। তারা দ্রুত জানতে চায়। এই অবস্থায় রাজ্য পার্টি মনে করেছে, ফেসবুক এবং টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলা দরকার।” পাশাপাশিই নাম না-করে বিমানবাবু বুঝিয়ে দেন, অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূল নেতারা সিপিএমকে যে ভাবে আক্রমণ করছেন, তার প্রেক্ষিতে নিজেদের বক্তব্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য সিপিএম।
ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বাম নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য সিপিএমের সেই মঞ্চ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি কেন? এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর না-দিয়ে বিমানবাবুর ব্যাখ্যা, “এটা এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকার প্রশ্ন নয়। আমাদের প্রতিপক্ষ যে কোনও কাজ যে কোনও ভাবে করতে পারে। তাদের কাছে অর্থ কোনও চিন্তার বিষয় নয়!” সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কাজ পরিচালনার জন্য রাজ্য সিপিএমের ইউনিটের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দেরিতে সাইবার দুনিয়ায় আবির্ভাবের জন্য সিপিএমকে অবশ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সচেতক ডেরেক ও’ব্রায়েনের টুইট, “সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাগত কমরেডগণ! আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন, সময়টা ১৮৪৮ সাল থেকে আরও কয়েক বছর এগিয়ে গিয়েছে!’’ যুগের ধর্ম মেনে মানুষের সঙ্গে মতামত যাচাই করায় অনাগ্রহের জন্যই সিপিএম এত দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতে পারেনি বলেও কটাক্ষ ডেরেকের।