নির্বাচনী আচরণবিধির বেড়াজালে রাজ্য সরকারের কাজের অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের প্রথম কর্মিসভায় ও পরে মারোয়াড়ি সম্মেলনেও মমতা উষ্মাপ্রকাশ করেন নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে। এমনকী, বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে (ইভিএমে) কারচুপি ঠেকাতে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
বিষ্ণুপুরের পৈলানহাটে কর্মিসভায় এ দিন মমতা অভিযোগ করেন, “পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আড়াই মাস গিয়েছে। এ বার লোকসভায় আড়াই মাস নির্বাচনী আচরণবিধিতে কোনও কাজ করা যাবে না। এর পরে পুরভোট, বিধানসভা রয়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এ ভাবে এক বছর কাজই করা
যাচ্ছে না!” আগে ৪৫ দিনে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যেত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আচরণবিধির গেরো এড়াতে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করলে সময় অনেকটাই বাঁচবে বলেও মাঝেরহাটে আন্তর্জাতিক মারোয়াড়ি সম্মেলনে এ দিন যুক্তি পেশ করেছেন মমতা।
নির্বাচনী আচরণবিধিতে উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকা নিয়ে মমতা এর আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এ বার লোকসভা ভোটের আগে ফের নিজের এই অভিযোগ যে স্রেফ সমালোচনার জন্য নয়, তা-ও উল্লেখ করেছেন তিনি। ভোট এলে রাজ্যের উন্নয়ন-কাজ বিলম্বিত হওয়ার অভিযোগ ব্যাখ্যা করে তাঁর বক্তব্য, “নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে গিয়ে কাজকর্ম বন্ধ হওয়ার জোগাড়। এখন পরিকাঠামো হাতের কাছে এলেও ভোটে সময় বেশি লাগছে। তবে এটা সমালোচনার জন্য নয়।”
ইভিএমে ঠিক জায়গায় যাতে কর্মী-সমর্থকেরা নিজেদের ভোট দিতে পারেন, সে ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তৃণমূল নেত্রী। পৈলানহাটের কর্মিসভায় তাঁর বক্তব্য, “অনেক সময় কারচুপি করে ইভিএমে নির্দিষ্ট ভোট ফিড করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।” ইভিএমের কারচুপি নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা তুলে তাঁর দাবি, “আমি ওই সব বিষয় কিছুটা জানি। ওই বিষয়ে আমি একটি বইও লিখেছি।”