শনিবার বীরহাটায় প্রতিবাদী ডেলিভারি বয়দের সঙ্গে এক পুুলিশ আধিকারিক। —নিজস্ব চিত্র।
খাবার ডেলিভারি দিতে গিয়ে অযথা পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই অভিযোগে শনিবার বর্ধমানে ঘণ্টা পাঁচেক কাজ বন্ধ রাখলেন একটি অ্যাপ-নির্ভর খাবার সরবরাহকারী সংস্থার ডেলিভারি বয়রা। তবে পুলিশের দাবি, এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে পুুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়।
জোম্যাটো নামে ওই সংস্থার ডেলিভারি বয়রা শনিবার জেলার বীরহাটার পার্বতী মাঠের সামনে জমায়েত হয়ে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদ করেন। তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার রাত থেকে পুলিশ তাঁদের কাজ করতে নিষেধ করেছে। এমনকি, শনিবার সকালে খাবার ডেলিভারি করার সময় তাঁদের কয়েক জন কর্মীকে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়। এর প্রতিবাদে সাময়িক ভাবে খাবার ডেলিভারি বন্ধ রাখেন ওই সংস্থার কর্মীরা। জোম্যাটোর এক কর্মী মহম্মদ ইসমাইল বলেন, “শুক্রবার রাতে খাবার ডেলিভারি করে ফেরার পথে পুলিশ লাইনের কাছে কয়েক জন পুলিশকর্মী আমার পথ আটকান। পরিচয় দিলেও ছাড়েননি। তার পর থানায় নিয়ে যান। ঘণ্টাখানেক ধরে এ ভাবে হেনস্থার পর ছেড়ে দেন।”
ইসমাইলের অভিযোগের পরই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সংস্থার বর্ধমান শাখার কর্মীরা। জোম্যাটোর আর এক কর্মী সম্রাট রায় বলেন, “এই রোজগারে আমাদের সংসার চলে। পুলিশ হেনস্থা করলে আমরা কী ভাবে কাজ করব?”
শনিবার বীরহাটায় ডেলিভারি বয়দের প্রতিবাদের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুুলিশ আধিকারিকেরা। বিষয়টি মিটমাট করে ডেলিভারি সংস্থার কর্মীদের করোনাবিধি মেনে পরিষেবা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, “জোম্যাটোর কর্মীর সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে সে সব মিটে গিয়েছে।”