—ফাইল চিত্র।
দুই হাতে ধরা তিনটি বড় পাথর। কপালে গেরুয়া আবিরের তিলক। শনিবার বছর আঠাশের সেই যুবককেই গঙ্গারামপুরে দেখা গিয়েছে পুলিশকর্মীদের দিকে এলোপাথাড়ি পাথর ছুড়তে। তার পর থেকেই খোঁজ শুরু হয়েছে সেই যুবকের। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর নাম জগন্নাথ সূত্রধর। আপাত নিরীহ, এলাকায় শান্ত ছেলে বলে পরিচিত বিজেপি কর্মী জগন্নাথকে হন্যে হয়ে পুলিশ খুঁজছে। তবে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তাঁরা জগন্নাথকে চেনেন না। বিজেপি নেতা সনাতন কর্মকার বলেন, ‘‘এমন কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা-ও আমাদের জানা নেই।’’ কিন্তু প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, শনিবারের ঘটনার ছবি দেখেই জগন্নাথকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রেই খবর, গঙ্গারামপুর কালীতলার লক্ষ্মীতলার বাসিন্দা জগন্নাথ পেশায় কাঠমিস্ত্রি। বাড়িতে মা, দাদা এবং বৌদি রয়েছেন। বজরং দলের সঙ্গেও জগন্নাথের যোগাযোগ রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। জগন্নাথকে রামনবমীর মিছিলে প্রতি বছর দেখা যায়। জগন্নাথই শনিবার পুলিশ-বিজেপির রণক্ষেত্রে সামনে থেকে পাথর ছুড়ে গন্ডগোলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি।
সূত্রের খবর, শনিবার বিজেপির মিছিলের আগে থেকেই রেল লাইন থেকে প্রচুর পাথর এনে জড়ো করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল বাঁশ ও লাঠি। পুলিশ যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মিছিল আটকে দেয়, তখন কয়েক জন পরিকল্পনা মতোই পাথর ছুড়তে থাকে পুলিশের দিকে। পুলিশ সূত্রেই অভিযোগ, জগন্নাথের ছোড়া পাথরের আঘাতেই এসআই বিভু ভট্টাচার্য মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন। জখম হন আরও সাত জন। পুলিশের দু’টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পরে জানা গিয়েছে, অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যান জগন্নাথ ও তাঁর দলবল। তার পর থেকেই এলাকা থেকে বেপাত্তা তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম তৈরি করে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশের দাবি। জেলার পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।