প্রতীকী ছবি।
ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য। ভিড় পাতলা হয়ে আসা দুপুরের বাজারে এক যুবকের মাথায় আচমকা আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দাঁড় করায় এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঘিরে ধরে জনা পাঁচেকের একটি দল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই যুবককে গাড়িতে তুলে পলকের মধ্যে বসিরহাটের দণ্ডিরহাট বাজার থেকে বেরিয়ে যায় দলটি। গত মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় গুজরাত পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের (এটিএস) হাতে পাকড়াও হয়েছে আব্দুল রাজা গাজি নামে বছর আটত্রিশের এক যুবক। তার বাড়ি স্থানীয় পশ্চিম বাগুন্ডি গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজা বাংলাদেশে মানব পাচার চক্রের চাঁই। তার হুন্ডির ব্যবসাও রয়েছে। গুজরাত পুলিশের এটিএসের পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ শেখ জানান, আব্দুল রাজার সঙ্গে লস্কর-ই-তইবার যোগাযোগ রয়েছে। ২০০৬ সালের আমদাবাদ বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্তকে আশ্রয় দিয়েছিল রাজা। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজার বিরুদ্ধে এক জঙ্গিকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
গত সোমবার গুজরাত এটিএস-এর একটি দল বসিরহাটে আসে। রাজার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে মঙ্গলবার দুপুরে দণ্ডিরহাট বাজারে অপেক্ষা করতে থাকে তারা। বসিরহাট জেলা পুলিশেরও একটি দলও তাদের সঙ্গে ছিল। একটি ব্যাঙ্কে ঢোকার মুখে রাজাকে পাকড়াও করা হয়। সে দিনই তাকে বসিরহাট আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে রওনা হয় গুজরাত পুলিশ।